নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, রাজনীতি একটা কৌশল। এই কৌশল আমরা কীভাবে নেব তা ঠিক করতে হবে। ২৮ তারিখের কর্মসূচিটা ক্রিটিক্যাল। আমাদের বুঝে শুনে পা ফেলতে হবে। আমরা কারও গণতান্ত্রিক অবস্থানে বাধা দেব না। এটা নেত্রীর নির্দেশনা। আর ৪ তারিখ বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতার কন্যাকে কতটা ভালবাসে সেটা প্রমাণ করতে হবে। এটা যখন শাপলা চত্বরে হবে, আমাদের বিশ্বাস সেদিন সেখানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সমাবেশটা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। আমরা যদি ক্ষমতাচ্যুত হই, এবার বাংলাদেশে ৬৫ হাজার গ্রামে একজন করে হত্যা করলেও ভাবুন। আমাদের ওপর বোমা হামলা হয়েছে, গুলি হয়েছে। আমি পার্লামেন্টে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেও আমি শুনবো না। শেখ হাসিনা আপনার আমার বাচ্চার ভবিষ্যত। নারায়ণগঞ্জে ওরা নেত্রীকে নিয়ে, তার পিতাকে নিয়ে গালি দেয়। তার পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। রহমান আল্লাহর একটা নাম। ওদের এমন স্লোগানের পর আমরা একটা জনসভা ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সেদিন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এ জনসভা করেছিলাম।তিনি নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের কমিটি প্রসঙ্গে বলেন, এক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বসে আছে। আমি কোন থানা কমিটি দেখতেও যাইনি। ফতুল্লায়ও যাইনি, কারণ সব তো আমারই লোক। আমার স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভেঙে দেয়া হল, কেন আমি জানি না।
দলের মধ্যে মোশতাক প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ত্যাগী লোককে মূল্যায়ন করা দরকার। মোশতাক চাই না। বঙ্গবন্ধুর পিতার মৃত্যুর পর মোশতাক কবরে নেমে এমন কান্না করেছিল যে, বঙ্গবন্ধু নিজে কান্না থামিয়ে তাকে উঠিয়েছিল। এরা অনেক নাটকবাজ হয়।
তিনি বলেন, আমরা টার্গেট না। টার্গেট একটাই, সেটা হল শেখ হাসিনা। শুধুমাত্র তিনি টার্গেট। তাকে টলাতে পারছে না কারণ বঙ্গবন্ধুর সাথে তার একটা তফাৎ আছে। বঙ্গবন্ধু সকলকে বিশ্বাস করতেন, জীবন দিয়ে তাকে তার মূল্য দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সকলকে বিশ্বাস করেন না। বাংলাদেশে এখনও জামায়াত কথা বলে বিএনপির কারণে।
তিনি ফিলিস্তিন সম্পর্কে বলেন, ইসরায়েলে আজ মানবাধিকার কোথায়। সমস্ত মানবাধিকার এখানে এসে পড়েছে। ওরা ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলছে না। কথা বলছে শেখ হাসিনা।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো: বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন