৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৮

পাকুন্দিয়ায় চেয়ারম্যানের হুমকিতে বাড়িছাড়া প্রবাসীর পরিবার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

পাকুন্দিয়ায় চেয়ারম্যানের হুমকিতে 
বাড়িছাড়া প্রবাসীর পরিবার

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকিতে এক প্রবাসীর পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তারা নিজ গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের অত্যাচার, নির্যাতনসহ হুমকির নানা অভিযোগ করেন প্রবাসীর স্ত্রী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান।

পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মাসুদ রানার স্ত্রী সোহাগী বেগম জানান, তার মেয়ে বাহাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার অষ্টম শ্রেণি পাশ করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকায় চেয়ারম্যান আরো ক্ষিপ্ত হন। গত রবিবার রাতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির দরজা-জানালা ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক ছিলনা। মহিলারা দরজা বন্ধ করে ভিতরে থাকায় রক্ষা পান। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে সোহাগী বেগম ও তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চেয়ারম্যান ও তার লোকদের হুমকিতে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এ অবস্থায় মির্জাপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উল্লেখ করে সোহাগী বেগম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সোহাগী বেগমের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে, পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ও শাশুড়ি মদিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়া বলেন, কারা হামলা করেছে তিনি কিছুই জানেন না। হামলার বিষয়ে সোহাগী বেগম তাকে কিছুই জানায়নি। তিনি আরও বলেন, রাতে ১০টা লোক গিয়ে যদি বলে আমরা চেয়ারম্যানের লোক। এটা কি বিশ্বাস করা যায়? আপনার ইউনিয়নে এমন  ঘটনা কেন ঘটবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহিলা তো থানায় যায়, বিভিন্ন জায়গায় যায়, আমার কাছে তো বিচার চায়নি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ হাসান সুমন জানান, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে দুপক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর