রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত করতে স্বেচ্ছায় কাজ করছে মুসল্লিরা। কনকনে শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শত শত মুসল্লি সকাল থেকে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। আগত মুসল্লিরা ময়দানে সামিয়ানা তৈরি, চট বাঁধাই, খুঁটি গাথা, মাটি কাটা, ময়দানের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার, ড্রেন পরিস্কার, বিদেশিদের কামরা নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ করছেন। মুসল্লিরা দিনের মেহনত ও আল্লাহকে রাজি খুশি করতেই ময়দানে এসে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন।
ময়দানে কাজ করা এক সাথী মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, আল্লাহর কাজ করতে এসে যত মেহনত হবে, ততই ছোয়াব হবে। আল্লাহকে পেতে চাইলে একটু কষ্ট করতেই হবে, আর আল্লাহর জন্য কষ্ট করলে, আল্লাহ তায়ালা রাজি খুশি হয়ে যাবেন। এই কষ্টের ফল আখেরাতে পাওয়া যাবে।
এগিছে চলছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার সকল প্রস্তুতি। আগামী ২ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার উভয় পর্ব। অনুুষ্ঠিতব্য বিশ্বইজতেমা উপলক্ষে কনকনে শীত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছায় কাজ করছে মুসল্লিরা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিরা ময়দান প্রস্তুত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। গতবারের ন্যায় এবারও প্রথম পর্বে যোবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করছে।
এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবে। মাওলানা জোবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আগত মুসল্লিদের সেবায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ময়দানের চারপাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে টয়েলেট ও গোসল করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইজতেমা সফল করতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন , পুলিশ র্যাব ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। আমি নিজে প্রতিদিন ময়দানের খোঁজখবর রাখছি।
বিডি প্রতিদিন/এএ