পিরোজপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব প্রিন্স হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নাজমুল হাসান নাইমকে ১১ বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যেমে অনলাইনে একটি পন্য অর্ডার করার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পালাতক আসামি নাজমুল হাসান নাইমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
আসামি নাজমুল হাসান নাইম (৩০) পিরোজপুরে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী এলাকার শফিকুল আলম হাওলাদারের পুত্র।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট পিরোজপুর শহরের আদর্শপাড়া এলাকার জাকির হেসেন সদার লিটনের পুত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স নিখোঁজ হয়। পরে এ বিষয়ে ছাত্র প্রিন্সের বাবা পিরোজপুর সদর থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনার পারের দিন পিরোজপুর শহরস্থ সিআইপাড়া রায়ের পুকুর পাড়ের ছাত্র প্রিন্সের লাশ ভেসে ওঠে। পরে পিরোজপুর সদর থানায় নিহত প্রিন্সের বাবা ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার শেষে ২০১৭ সালে বিচারক এজাহার নামীয় ২ জন আসামি নাফিজ হাসান নাহিদ ও নাজমুল হাসান নাইমকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরো জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামি নাজমুল হাসান নাইম বিভিন্ন স্থানে আরমান আর শুভ নাম ব্যবহার করে আসছিলো। কিন্তু ইন্দুরকানী পুলিশ একটি প্রতারণার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানাতে পারে নাইম নিজের নাম গোপন করে আরমান নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে। পরে আসামি ও তার মায়ের নামের ১৯টি সিমে ব্যবহার করতো। এর মাঝে একটি সিম থেকে অনলাইনে পন্য অর্ডার দিলে পুলিশ সেই ঠিকানা সংগ্রহ করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ