কুমিল্লার হোমনায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না সামিয়া আক্তার নামের দুই স্কুল শিক্ষার্থীর। স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে নদী পার হতে গিয়ে তিতাস নদীতে খেয়ানৌকা ডুবে দুই ছাত্রীর প্রাণহানি হয়েছে। মৃত দুই শিক্ষার্থী পাশের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১২) ও মো. মুসা মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪)। তারা দুজনেই হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার বিকেলে উপজেলার কানাই সাহা ঘাট সংলগ্ন তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. মনির হোসেন জানান, ২০-২৫ জন ছাত্রী নিয়ে খেয়ানৌকাটি কানাই শাহ ঘাট থেকে ছেড়ে নদীর মাঝামাঝি যেতেই পাশ দিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দ্রুত গতিতে রামচন্দ্রপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ওই ট্রলারে সৃষ্ট ঢেউয়ে খেয়ানৌকাটি হেলে-দুলে একদিকে কাঁত হয়ে ডুবে যায়। এতে তিন শিক্ষার্থীও ডুবে যান। ঘাটে থাকা স্থানীয় লোকজন ও অন্যরা একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় এক ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকী দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় লোকজন নদীতে খোঁজাখুঁজি করে এক ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, খেয়ানৌকায় নদী পার হতে গিয়ে দুইজন শিক্ষার্থী তিতাস নদীতে ডুবে মারা গেছেন। কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ