বৈরী আবহাওয়ার ও ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দশটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১০টি ট্রলারের মধ্যে জেলেদের বিভিন্ন স্থানে এ সময় ১১২ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো বাকি ৫টি ট্রলারসহ ৮ মাঝি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। এই নিয়ে ১৫টি ট্রলারের মধ্যে ১০ ট্রলারের জেলে ও মাঝিরা নিরাপদ স্থানে উঠে এসেছে। বাকি ৫টি ট্রলার সহ ৮ মাঝি নিখোঁজ রয়েছেন। হাতিয়া থানার ওসি ধারণা করছেন নিখোঁজ ঐ ৫টি ট্রলারের অন্তত ৫০-৬০ জন জেলে থাকতে পারেন।
জানা যায়, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পযর্ন্ত বঙ্গোপসাগরের মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি। স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলার গুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে। মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলারগুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলারসহ নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরো ৫টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ বলেন, তাৎক্ষণিক কিছু জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৫টি ট্রলারসহ ৮ মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে আগামীকাল সকাল নাগাদ জানা যাবে।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চাকমা বলেন, ডুবে যাওয়া ১৫টির মধ্যে ৫টি ট্রলার এখনো নিখোজ রয়েছে। ১০ টি লোকজন নিরাপদ স্থানে উঠে এসেছে। প্রশাসনও স্থানীয়দের সহযোগীতায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল