প্রসূতি মায়েদের প্রসব পূর্ব ও পরবর্তী রক্তক্ষরণ এবং খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ চিকিৎসকদের জন্য এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এ দুটি সমস্যা রোগীদের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। তাই প্রসূতি মায়েদের মাতৃস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (সিআইএমসি) হাসপাতালের গাইনি বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘কোন মাকে পিছনে না রেখে, মাতৃ স্বাস্থ্যসেবায় সমতা’।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সিআইএমসি হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিপু সুলতান, সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন সিআইএমসি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. মুসলিনা আকতার। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বখতিয়ার আলম, এনেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিরুল আলম, গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফেরদৌস, ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আকরাম পারভেজ ও নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ রুবী দত্ত।
সেমিনারে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিপু সুলতান বলেন, নিরাপদ মাতৃত্বের মূল উপাদানগুলো হলো- পরিবার পরিকল্পনা, পরিকল্পিত গর্ভাবস্থা, প্রসবপূর্ব যত্ন ও নিয়মিত চেকআপ, টিটেনাস টিকাকরণ, গর্ভাবস্থায় যেকোনো জটিলতা-জরুরি অবস্থায় অতিদ্রুত হাসপাতালে যাওয়া।
গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা চৌধুরী বলেন, একজন প্রসূতিকে গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠের আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় থাকতে হবে। একই সঙ্গে মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুরও যত্ন প্রয়োজন। দুটি মিলেই নিরাপদ মাতৃত্ব।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল