বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে রাজবাড়ীর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ফরিদপুর অঞ্চলের পরিচালক এ. এইচ. এম হামিদুর রহমান আযাদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর অঞ্চলের সহকরী সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হুসাইন, ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য শামছুল ইসলাম আল বরাটী ও প্রফেসর আবদুত তাওয়াব বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ. এইচ. এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বিগত সরকারের সময়ে দেশে আইনের শাসন ছিল না। বিচারের নামে দেশে প্রহসন হয়েছে। বিচারের নামে ফাঁসি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেক এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। কবর থেকে এসেও মানুষ ভোট দিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল বাননের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন। এখানে ড্যামি প্রার্থীদের অর্থ দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে আগামীতে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৯ সালে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন হয়েছিন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অ্যাড. নূরুল ইসলাম পুনরায় জেলা জামায়াতের আমির নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১৯ জন শূরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যারা জেলার জামায়াতের সেক্রেটারি নির্বাচিত করবেন। আগামী দুই বছর নবগঠিত কমিটি জেলার দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্মেলনে ৫৩৭ জন ভোটারসহ আমন্ত্রিত জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ