মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের প্রধান বাড়িতে আগুনে পুড়ার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, তেতৈতলা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে কাইয়ুম প্রদানের বাড়ির বসতঘরে আগুন লাগে রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে। স্থানীয় লোকজন আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও আসবাবপত্র সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কাইয়ুম প্রধানের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, বসত ঘরটি তার বড় ছেলের। ব্যবসার সুবাদে তিনি ঢাকায় রয়েছেন। রাতে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে খবর দেয়। তার ছেলে কাইয়ুমের বসত ঘর আগুন লেছে। তিনি বের হয়ে দেখেন বসত করে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যে। ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে কোনো মানুষ ছিল না। পূর্বের শত্রুতা জের ধরে কোন দুষ্কৃতকারী তার ছেলের বসতঘরে আগুন দিয়েছে।
কাইয়ুম প্রধানের স্ত্রী শামীমা জাহান বলেন, স্বামী কাইয়ুম প্রধান ব্যবসার সুব সুবাদে তারা ৬ থেকে ৭ বছর ধরে ঢাকায় রয়েছেন। প্রতি শুক্রবার তার স্বামী বাড়িতে আসেন। ঘরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর সংযোগ ছিল না। শুক্রবার ঘরে তালা বন্ধ করে ঢাকায় ফিরে আসেন। রবিবার রাত ৩টার দিকে খবর আসে তাদের ঘরে আগুনে লাগছে। সোমবার সকালে এসে দেখেন ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর থেকে কিছুই বাহির করতে পারিনি। তার ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শত্রুতার জেরে কেউ বা কাহারা আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানাই।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক জানান, খবর পেয়ে তারা ছুটে গিয়ে আধা ঘন্টা চেষ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হন। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে ঘটেছে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম