কুড়িগ্রামের ৪ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর তিন উপজেলার আওতায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক এমপি বিপ্লব হাসান পলাশসহ এজাহারনামীয় ৫০ জনসহ অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় আহত ভুক্তভোগী সাহেব আলী গত বুধবার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের মুদাফাৎ থানা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। এদিকে এ মামলায় বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন রমনা মডেল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূর-ই-এলাহী তুহিন,সাগর মিয়া ও জাফিউল ইসলাম। তারা সবাই রমনা মডেল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মামলায় এজাহারে জানা যায়, গত বছরের ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে তাদের বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে ওসি মুশাহেদ খান জানান,সাবেক এমপি বিপ্লব হাসান পলাশসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এরইমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে,জেলা পুলিশের অভিযানে অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় উলিপুর, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাহেবের আলগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল করিম, নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের যুবলীগ সদস্য এ কে এম কামরুজ্জামান মানিক, ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসানুজ্জামান বাবলু।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ডেভিল হান্টের অভিযানে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের সকল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ