নোয়াখালী সুবর্ণচরে গেলো কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সুবিধা না পাওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়েছেন উপজেলার এসএসসি ও সমমানের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। অপরদিকে পানির সংকট, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা, এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলমান, কিন্তু লোডশেডিংয়ের জন্য সময়মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের নির্দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যা সমাধানের জন্য নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সুবর্ণচর জোনাল অফিসে আজ স্মারক লিপি প্রদান করেছে স্থানীয় ছাত্রদল নেতারা।
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল নেতারা উল্লেখ করেন চলমান এসএসসি পরীক্ষার সময় সুবর্ণচরে অযৌক্তিকভাবে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিদ্যুৎ সরবরাহের এই অব্যবস্থাপনা পরীক্ষার্থীদের উপর চরম মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করছে। প্রচন্ড গরমে এবং অস্বস্তিকর পরিবেশে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে তাদের মনোসংযোগ ও কর্মক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যা মেধা ও ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে পারে।
পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শুধু পরীক্ষার্থী না এলাকাবাসীও চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। পানির সংকট, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা, এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিগণ অমানবিক কষ্ট ভোগ করছেন।
ছাত্রনেতারা আরো বলেন, উপজেলার কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের কষ্ট, ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন। আর তা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের দৃষ্টিতে এসেছে। যা দেখে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত, মর্মাহত হন। সাথে সাথে তিনি এই সমস্যা নিরসনের জন্য আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে স্মারকলিপি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈকত সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পলাশ, চর জব্বর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, চর জুবিলী রাব্বানিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রদলের সভাপতি নূরউদ্দিন জাহেদ।
তারা অবিলম্বে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান। যাতে করে কোমলমতি পরীক্ষার্থীরা সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশে পড়াশোনা ও পরীক্ষা দিতে সক্ষম হয় এবং এলাকাবাসীও স্বস্তি লাভ করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুবর্নচর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আরব আলী শেখ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুবর্নচরে প্রতিদিন ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও আমরা পাচ্ছি ১২ মেগাওয়াট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও লোড শেডিং এর কারণে সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, আগামী ১০ তারিখের পর আর এ সমস্যা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএ