বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে এই মামলা করেন বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম। নাইমুল ইসলাম বিএনপি বা বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত নন।
জানা যায়, এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা সাবেক মেয়র এবিএম গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাজ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ অলি, বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে।
মামলায় ইতোমধ্যে আক্তারুজ্জামান বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বুধবার অন্য একটি মামলায় জামিন লাভ করে বের হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বাদী এস এম নইমুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল টিভি ভাঙচুর করে। অফিসের সামনের সড়কে মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রে আসামিরা গান পাউডার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। কিছু আসামি বিএনপি অফিসে ও বাইরে হাত বোমা ফাটায়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ ও তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ