কর্মকর্তাদের লাগাতার কলমবিরতিতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের শুল্কায়ন কার্যক্রম। সোমবার পঞ্চম দিনের মতো এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, টানা কলমবিরতির কারণে শুল্কায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। শুল্ক পরিশোধ করে কাস্টমসের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারি নিতে হয়। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাস্টম হাউসে ধর্না দিয়েও শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারায় তারা আমদানি পণ্য সময়মতো ডেলিভারি নিতে পারছেন না।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দুই ভাগ করে অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে গত ১৫ মে থেকে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা কলম বিরতি পালন করেছেন দেশের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়কারী এ কাস্টম স্টেশনের কর্মকর্তারা। এই সময়ে তারা আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন থেকে বিরত থাকছেন।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য কাস্টম কর্মকর্তাদের এই কর্মসূচি ভালো দিক নয়। এর প্রভাবে বন্দরেও কাজের গতি অনেক কমে গেছে। আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমদানি কনটেইনারের ডেলিভারি কমে যাচ্ছে। এতে বন্দরের ভেতরে কনটেইনার ও পণ্যের জট বেড়ে যেতে পারে। দেশের অর্থনীতিতে এমনিতেই একটা ধাক্কা যাচ্ছে, তার ওপর সময়মতো পণ্য ছাড় নিতে না পারলে শিল্পকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। এখন ফ্রি-টাইমের পর কনটেইনার ডেলিভারি নিতে গেলে চারগুণ হারে স্টোর রেন্ট আদায় করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ডেলিভারি নিতে যত দেরি হবে তত বেশি স্টোর রেন্ট গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের। আমরা আশা করি সরকার ও কাস্টম কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে একটা ভালো সমাধানে আসবেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন জানান, বিকাল তিনটা থেকে নির্ধারিত অফিস সময়ের পর কাস্টম কর্মকর্তারা কিছুটা বেশি সময় নিয়ে সারা দিনের জমে যাওয়া কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এর পরও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল