নেত্রকোনায় সাত বছর বয়সী একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে গেলে শিশুটিকে প্রতিবেশী এরশাদ আলী ঘরে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে শিশুটি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে অভিযুক্ত আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার, স্থানীয়, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নে গতকাল শুক্রবার দুপুরে অন্য শিশুদের সাথে খেলছিল শিশুটি। তখন প্রতিবেশী এরশাদ আলী তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় শিশুর চিৎকার ও অন্যান্য শিশুদের ডাকে মাসহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে জয়নগর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই মডেল থানায় অভিযোগ দেয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে শনিবার মামলাটি আমলে নেয়।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে আসামি এরশাদ আলী পলাতক থাকায় তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ।
তিনি বলেন, ‘একটি ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। ঘটনার পর থেকে ওই ব্যক্তি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকী মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
এদিকে স্থানীয় প্রতিবেশি নবাব মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক জেলা সম্পাদক শাহ আলম জানান, পুলিশের কাছে শুক্রবার রাতেই অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে একমাত্র শিশুর সাথে এমন পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘স্বামী ৪০ দিনের জন্য তাবলিগে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে রওয়ানা দিয়েছেন। শিশুটি অন্যদের সাথে খেলা করছিল। এই শিশুটিকে ডেকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার (অভিযুক্তের) ফাঁসি ছাড়া আমার আত্মা শান্তি পাবে না।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ