শিরোনাম
- ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
- মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
- ‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
- ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক
- ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে
- মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
- কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
- শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে বাজুসের সতর্কতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
দেশের জুয়েলারি শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলা ও ব্যবসার মানন্নোয়ন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্কীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে বাজুস সদস্যদের মাঝে ‘স্বর্ণ ক্রয় সতর্কীকরণ নোটিশ’ জারি করেছে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট। সকল প্রকার স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সংশ্লিষ্টদের বিনীত অনুরোধ জানিয়েছে বাজুস।
সারাদেশে জুয়েলার্সদের দেওয়া সতর্কীকরণ নোটিশে বাজুস বলেছে, বাজুস সদস্যরা প্রয়োজনের তাগিদে দেশি-বিদেশি বা পুরাতন- নতুন স্বর্ণালংকার ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নানাবিধ আইনি জটিলতার সম্মুখীন হয়। একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও, কোনো কোনো ব্যবসায়ী পুরাতন বা ব্যাগেজ রুলের স্বর্ণ ক্রয় করেও, নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে পুরাতন স্বর্ণ বা ব্যাগেজ রুলের স্বর্ণ ক্রয় করার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছে বাজুস। এই নির্দেশনাগুলো হলো:
পুরাতন স্বর্ণ ক্রয়ে যে সব সতর্কতা অবলম্বন করবেন ব্যবসায়ীরা:
১. বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।
২. বিক্রেতার বিক্রয়কৃত স্বর্ণালংকারের উৎস সম্পর্কে জানতে হবে।
৩. বিক্রেতার স্বর্ণালংকারের ক্রয় রশিদের কপি থাকতে হবে।
৪. মূল মালিক ব্যতিত কোন প্রতিনিধির নিকট থেকে অলংকার ক্রয় করা যাবে না।
ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনায়নকৃত স্বর্ণ ক্রয়ের যে সব সতর্কতা অবলম্বন করবেন ব্যবসায়ীরা:
১. বিক্রেতার পাসপোর্টের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে।
২. বিক্রেতা যে দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে এসেছেন, সেই দেশের ভিসার কপি এবং এক্সিট ও এন্ট্রির সিলের কপি রাখতে হবে (মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিক্রেতার নিকট থেকে উল্লেখিত ডকুমেন্টের কোন ফটোকপি গ্রহণ করা যাবে না)।
৩. বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের ফটোকপি রাখতে হবে।
৪. প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে হবে।
৫. এয়ারপোর্টে ডিক্লারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স প্রদানের ডকুমেন্ট (মূল কপি সংরক্ষণ করতে হবে)
৬. প্রয়োজনে বিক্রেতার পরিচয় যাচাই-বাছাই করতে হবে।
৭. পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ট্যাক্স স্লিপে (পিওর গোল্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে) একই নাম, ঠিকানা আছে কিনা, তা যাচাই করে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আগমনকালে ব্যাগেজ রুলের আওতায় পণ্য আনার যে সুবিধা পায় তা তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য। তবে অর্থের প্রয়োজনে পণ্যটি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করলে উল্লেখিত তথ্যাদি বা ডকুমেন্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্রয় করা যাবে।
সকল ক্ষেত্রে ক্রয় রশিদ প্রদান করতে হবে এবং বিক্রেতার স্বাক্ষর যুক্ত ক্রয় রশিদের কপি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছর সংরক্ষণ করতে হবে। বিক্রেতা যদি বর্ণিত তথ্য দিতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে সেটা অবৈধ স্বর্ণ। তাই এ ধরনের বিক্রেতার নিকট থেকে স্বর্ণ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বার বার সতর্ক করার পরও কোন জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদি অবৈধ স্বর্ণ ক্রয় করে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হন, তাহলে বাজুস তাকে কোন সহযোগিতা করবে না।
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর