চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়্যারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, বে টার্মিনালের ড্রেজিং আগামী বছরের মাঝামাঝি শুরু হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য প্রকল্পের প্রস্তাবিত তিনটি টার্মিনালের প্রথমটি ২০৩০ সালের মধ্যে অপারেশনে নিয়ে যাওয়া।
সোমবার বন্দর অডিটোরিয়ামে বে-টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জেনারেল মার্কেট এনগেজমেন্ট কনফারেন্স শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রকল্পের ধীরগতি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছি, সেগুলো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ গাইডলাইনে। ওই গাইডলাইনে যেসব ধাপের কথা বলা আছে, তার শতভাগ পূরণ করতে হবে। কোনোটি বাদ দেওয়া যাবে না। এই প্রক্রিয়াগুলো করতে গেলে সময়ের প্রয়োজন হয়।
এ সময় তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটা সাফল্য দৃশ্যমান হবে বলে আশাবাদ জানান। বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে টার্মিনাল-১ অপারেশনে নিয়ে যাওয়া। আগামী বছরের মাঝামাঝি যদি ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করতে পারি, তাহলে এই সময়ের মধ্যে অপারেশনে যাওয়া সম্ভব হবে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, শতবর্ষের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। যেন বড় দুর্যোগেও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বিশ্বমানের প্রকল্প হবে এটি। আমরা চাই বাংলাদেশ রিজিওনাল হাব হয়ে উঠুক।
কনফারেন্সে দেশি-বিদেশি ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রকল্পের ঢেউ থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ ও চ্যানেল ড্রেজিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
পতেঙ্গা ও হালিশহরে উপকূল ঘেঁষে বে টার্মিনাল তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা বন্দরের বর্তমান অবকাঠামোর চেয়েও বড়। এখানে তিনটি টার্মিনাল থাকছে। এর মধ্যে দুটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটর ও অপর টার্মিনালটি বন্দর এবং বিদেশি অপারেটর মিলে করার কথা।
বিডি-প্রতিদনি/এমই