মুক্তির মন্দিরে সোপান তলে, কত প্রাণ হলো বলিদান লেখা আছে অশ্রুজলে- হ্যাঁ, বিশ্বকবির এ গানের মর্মবাণীই যেন বারবার প্রতিধ্বনিত হয় যখন আমাদের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের কথা মনে আসে। যা কখনোই স্মৃতির মানসপট থেকে মুছে ফেলা যাবে না। যে ইতিহাস চিরভাস্বর, চির অমলিন, চিরজাগরূক। লাখ লাখ প্রাণের বিসর্জন, হাজারো নারীর সম্ভ্রমহানি ও বহু আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন ছিল সেই স্বাধীনতা। অতঃপর সবাই মিলে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা শোষণমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল সেই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জন্ম বা আত্দপ্রকাশের যেমন ইতিহাস আছে তেমনি আমাদের এ ছোট্ট রাষ্ট্রটির জন্মের পেছনে বিস্মৃত হয়ে আছে এক করুণ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস। এক জাতি-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল দেশটির আবির্ভাবের পেছনে। কিন্তু যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে লাখো মানুষের আত্দত্যাগ, তার অনেক কিছুই আজো অর্জিত হয়নি। বিশেষ করে কার্যকর গণতন্ত্র ও সুশাসন অর্জনের ক্ষেত্রে বরং আমরা রয়েছি অনেক পিছিয়ে যা সমগ্র জাতিকে এক দুর্ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নসাধ একটি জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র অভ্যন্তরে বসবাসরত মানুষের সুষ্ঠু রাজনীতির অন্তর্নিহিত চর্চার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ আজ কেন জানি মুখ-থুবড়ে পড়েছে। ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত তো দূরে থাক, সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ হওয়া মানুষের সন্ধান দিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার। অথচ রাষ্ট্রের সমগ্র মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার অধিকার মূলত সরকারের। এত আলোচনা-সমালোচনার পরও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না গুম-খুন, অপহরণ। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, নূর মুহম্মদ, হুমায়ুন হিরু, আনিস উদ্দিন খোকন, সেলিম রেজা পিন্টু ও সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অনেকেরই কোনো খোঁজ নেই। এসব ঘটনার কোনো কূল-কিনারা করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্বজন হারানোদের প্রতীক্ষার প্রহর আর কত দীর্ঘায়িত হবে। কখন অবসান হবে তাদের দুয়ারে কান পেতে থাকার অপেক্ষার। যারা হারিয়ে যাচ্ছে তারা আর ফিরবে না এ নির্মম সত্যটি কি স্বজনদের মেনে নিতে হবে। এ জনপদে কী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে না। মানুষের এ বিনীত জিজ্ঞাসা রাজনীতিবিদদের কাছে। রাজনীতিবিদরা এর কী জবাব দেবেন! নাকি অদ্ভুতভাবে উটপাখির মতো নিজেদের মুখগুঁজে রাখবেন। কিছুই দেখবেন না, শুনবেন না। এত মানুষের হৃদয়ের কান্না, হাহাকার কী আপনাদের বিবেকবোধকে জাগ্রত করে না। সরকার কর্তৃক বিরোধী জোটের সহিংসতা বন্ধ ও জনগণের শান্তির কথা বললে বিএনপি ও তার জোট যেমন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপে ওঠে, আবার বিরোধী জোট যখন বিচারবহিভর্ূত হত্যা-গুম বন্ধ করে সবার অংশগ্রহণে জনগণের প্রতাশিত নির্বাচনের কথা সরকারের উদ্দেশে বলে তখন তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে সরকার। হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির আড়ালে সহিংসতা নিয়ে সরকার এবং বিরোধী জোটের মধ্যে চলছে ব্লেইম গেম। অন্যদিকে আন্দোলন দমনের নামে চলছে পুলিশের নিপীড়ন-নির্যাতন। এমনি এক দুঃসহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে দেশ ও দেশের মানুষ। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে দুপক্ষের র্যাট রেস আপাতত কিছুটা থেমে থাকলেও তা যে কোনো সময় আবার জোরেশোরে শুরু হতে পারে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তার এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে পরিণত করেছে।
রাজনৈতিক সংকট এমন নয় যে, তার সমাধান করা যাবে না। তবে দুপক্ষ অনমনীয় থাকলে সংকটের সমাধান হবে কী করে। সমস্যার গভীরে না গিয়ে অযথা বল প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খোঁজা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির কোনো সংজ্ঞায় পড়ে না। গণতন্ত্রের আদর্শ হলো সব মত-পথ-আদর্শের সম্মিলনস্থল ও বিচিত্রতার মধ্যে এক অনবদ্য ঐক্য স্থাপন। সেই সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সন্তুষ্টিবিধানে সর্বদা সচেষ্ট থাকা ও তাদের মতামতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া। মতাদর্শ যাই থাকুক না কেন, সমগ্র জাতিকে তার নিজস্ব কর্মকাণ্ড, ধ্যান-ধারণার মধ্যে যৌক্তিক ও আদর্শিকভাবে উদ্বুদ্ধ করে মহত্ত্বের দিকে, শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই রাজনীতিবিদদের মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য হওয়া উচিত। মধ্যযুগের বর্বর অমানবিক অবস্থা থেকে আধুনিক যুগের মানবতার শ্রেষ্ঠত্ব তো সেখানেই নিহিত। জোর যার মুল্লুক তার, এ নীতির বিচ্যুতি ঘটিয়ে যুক্তির জোরকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে আধুনিক গণতন্ত্র তথা সুশাসনের উত্তম ভিত্তি। এর ফলেই কেবল মানবসভ্যতা বর্তমানে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি রচিত হয়েছে। দৃঢ় মনোবল, মানুষের অফুরন্তর ভালোবাসা আর প্রগাঢ় বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগে একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার প্রকৃষ্ট রূপ আমরা দেখেছি সিঙ্গাপুরের জাতির জনক লি কুয়ান ইউর মধ্যে। তিনি প্রমাণ করে গেছেন আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সততা, প্রশাসনিক দক্ষতা, সুশাসন দিতে পারলে মানুষের জন্য অসম্ভব কিছুই নয়। ১৯৫৯ সালে এ দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে মালয়েশিয়া থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। কোনো যুদ্ধ বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যে সিঙ্গাপুরের জন্ম হয়নি। অথচ কী এক রক্তক্ষয়ী-অমানবিক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের আত্দপ্রকাশ ঘটেছিল। কিন্তু শুধু প্রতিহিংসা, বিভেদ-বিভাজনের কারণে আমরা নিজেদের উচ্চতর গণতান্ত্রিক আদর্শসম্পন্ন রাষ্ট্রের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে পারছি না। এ কথা অনস্বীকার্য, বাংলাদেশের মানুষ যেমন উন্নয়নের প্রত্যাশী তেমনিভাবে তারা গণতন্ত্রপ্রিয়। নিজের ভোটের পবিত্র আমানতটি যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রশাসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে তারা ভীষণভাবে আগ্রহী। আবার আমাদের জাতীয় জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তারা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য-সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করতে কখনো কুণ্ঠাবোধ করেনি। বাংলাদেশ আজ এ পর্যন্ত এসেছে কোনো রাজনীতিবিদের দয়ায় নয় বরং এ দেশের মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অন্তর্নিহিত উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের মাধ্যমে। অথচ আমাদের কী এক অভাগা রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে, একটা সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ এ দেশের মানুষের জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এটা নিশ্চিত করা গেলে অমিত সম্ভাবনার এ দেশটি আজ কোথায় উপনীত হতো তা বোধকরি বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেশে যে সংকটজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে সরকারি মহল তাকে রাজনৈতিক বলতে রাজি না হলেও আসলে এটা যে রাজনৈতিক সংকট তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দেশি-বিদেশি সব মহলই তাদের বক্তৃতা ও লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে বিবদমান দুপক্ষকে আলাপ-আলোচনার জন্য বারংবার তাগিদ দিচ্ছে। এমনকি একটি গ্রহণযোগ্য কর্তৃপক্ষের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণভিত্তিক জাতীয় নির্বাচন তারা প্রত্যাশা করছে। তারপরও সংকটের সমাধান হচ্ছে না। সংকট এমন নয় যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজ এর সমাধানে সক্ষম নয়। সদ্দিচ্ছা, আন্তরিকতা, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে সহজেই যে কোনো রাজনৈতিক সংকট সমাধান সম্ভব। জাতির কঠিন সময়গুলোতে আমরা দেখেছি, এ দেশের মানুষ বিপদাপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের উদারহস্ত প্রসারিত করে অকৃত্রিম সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। মানুষের স্বপ্নভাঙা অবস্থান থেকে আবার তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে আসা-স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এরকম অজস্র উদাহরণ আমাদের জাতীয় জীবনে পরিদৃশ্যমান। সাধারণ মানুষের স্বপ্নগুলোকে থরে থরে সাজাতে; নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনে উৎসাহিত করতে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ যদি স্বচ্ছ হতো তাহলে সেটাই হতো প্রকৃত রাজনীতি; তথা উন্নয়নের রাজনীতি। জোর-জবরদস্তি করে বিরোধী মত দমন কখনোই শান্তিপূর্ণ রাজনীতির আদর্শ হতে পারে না। জনজীবনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করে নিরাপত্তাজনিত শান্তি স্থাপনই রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। কেননা ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। সময় সবকিছু ঠিক করে দেয়। কোনো অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, মজলুমের ওপর অযাচিত জুলুম প্রকৃতিও সহ্য করে না। সব কিছুরই একটা শেষ আছে এটা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে। খামখেয়ালি মতো আমরা যা কিছু করতে পারি না। যা আমাদের ধ্বংসযজ্ঞের দিকে নিয়ে যায়। অন্যকে অনিরাপদ রেখে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায় না। ভিন্নমত দমনে যা ইচ্ছা তা করতে পারি না। সমালোচনা, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা বরং নিজেদের পরিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। অন্যের মত প্রকাশে বাধা না দিয়ে বরং স্বাধীনতা দেওয়াই গণতন্ত্রের আসল সৌন্দর্য। সঠিক-সত্যটা জনগণকে উপলব্ধি করতে দিতে হবে। সত্য উন্মোচনের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। সত্য প্রকাশ বা মতপ্রকাশে বাধা দিলে বরং জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে। এ ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা কোনটি- তা বিবেচনার সুযোগ দিতে হবে জনগণকে। কেননা সত্য-মিথ্যার দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় সত্যই সর্বদা প্রতিষ্ঠা পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে অল্পতে তুষ্ট, ধৈর্যশীল, কষ্টসহিষ্ণু ও শান্তিপ্রিয়। অথচ চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণেই এর চরম ব্যত্যয় ঘটেছে। সব মিলিয়ে একটা অস্থির-অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে নিপতিত হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। চেতনাগত অবস্থান থেকে সব মানুষের একসঙ্গে চলার স্বপ্ন-সাধ ধূলিসাৎ হতে বসেছে। সুখ-শান্তির মূলে ভাটা পড়েছে। কিন্তু এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না। মানুষের জন্যই তো রাষ্ট্র, রাজনীতি, সরকার, প্রশাসন সব কিছু। গণতন্ত্রও মানুষের জন্যই। অথচ সেই মানুষের কোনো শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, নিরাপত্তা নেই, অধিকার নেই। তারপরও আমরা স্বপ্ন দেখি, আশায় বুক বাঁধি। অস্থির অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে একটা স্বাভাবিক-স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দিকে সব পক্ষ উদারচিত্তে এগিয়ে আসুক কায়মনোবাক্যে সবাই সেই প্রত্যাশা করি। গুলশানের নিজ কার্যালয়ে ৯২ দিন অবস্থানের পর বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে পুনঃজামিন নিয়ে তার বাসায় ফিরেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাও তিনি পেয়েছেন সরকার থেকে। তাই সর্ব ক্ষেত্রে এ ধরনের সহিষ্ণু আচরণ গণতন্ত্রের অনুষঙ্গকে সমৃদ্ধ করে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশে সহায়তা করে নিঃসন্দেহে। কেননা গণতান্ত্রিক সমাজ কেবল একক মত, পথ ও সত্তা নয়; বহু মত, পথ ও সত্তার মিলন কেন্দ্র। গণতন্ত্রের মূল কথা জনগণের সার্বভৌমত্ব। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি ক্ষমতার লড়াই পরিহার করে জনগণের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয় তাহলে মানুষের মধ্যে অবারিত শান্তি ফিরে আসতে পারে। সুষ্ঠু-সুন্দর, স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে; নিঃশেষিত স্বপ্নগুলো একাত্তরের জাতীয় ঐক্যের মতো পুনশ্চঃ গড়ে উঠতে পারে। প্রতিহিংসার পরিবর্তে সৃষ্টি হতে পারে একে-অপরের প্রতি সৌহার্দ্য ও সহানুভূতি। পরিস্ফুটিত হতে পারে মহৎ মানবিক মূল্যবোধ, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ। আর তখন উচ্চকিত কণ্ঠে এক সুরে আমরা গাইতে পারব সেই গান- 'সব মানুষের স্বপ্ন তোমার চোখের তারায় সত্যি হোক, আমার কাছে দেশ মানে এক লোকের পাশে অন্য লোক।'
লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি