শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যত দিন পর্যন্ত ‘ক্ষমতায় যাওয়া’র ও ‘দেশশাসন’ করার মতো শব্দগুলো তাঁদের মস্তিষ্ক থেকে বের করে দিতে না পারবেন, তত দিন পর্যন্ত দেশ ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। ‘ক্ষমতা’ ও ‘শাসন’ শব্দ দুটির সঙ্গে যে রাজতান্ত্রিক অথবা ঔপনিবেশিক দম্ভ রয়েছে, তা রাষ্ট্রপরিচালনায় জনগণকে তাদের কাক্সিক্ষত অংশীদারত্ব থেকে বঞ্চিত করার ইঙ্গিত দেয়, যাদের কাঁধে পা দিয়ে রাজনীতিবিদরা ‘ক্ষমতা’র গদিতে জেঁকে বসেন। দেশটি আর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থাকে না। সংবিধানে জনগণের কাছে জবাবদিহির শর্ত আছে, কেউ জবাবদিহির ধার ধারেন না। তাঁদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা থাকা তো দূরের কথা। বাংলাদেশে ভোটে বা বিনা ভোটে অনুষ্ঠিত ১২টি জাতীয় সংসদে যাঁরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁরা কি কখনো তাঁদের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে বলেছেন, ‘নির্বাচিত হলে আমি একটি সরকারি প্লট নেব’, ‘শুল্কমুক্ত গাড়ি ক্রয় করব’, ‘ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যার নামে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করব’ ইত্যাদি।

না, তাঁরা তা বলেন না। তাঁরা যা করবেন না বা বিশ্বাস করেন না, জনগণের সামনে তা-ই বলেন। তাঁরা যা বলেন না, নির্বাচিত হয়ে মনের গহিনে পুষে রাখা সুপ্ত আকাক্সক্ষাগুলো পূরণের উৎসবে মেতে ওঠেন। তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা ‘হলফনামায়’ দেখানো সম্পদের পরিমাণ কয়েক হাজার টাকা, স্ত্রীর কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েক বিঘা জমির পরিমাণ বন্যার পানির মতো রাতারাতি বেড়ে চলে। মনে হয় তাঁরা আলাদিনের জাদুর চেরাগ হাতে পেয়েছেন। অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করেন। সন্তানদের পড়াশোনা করতে পাঠান বিদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যে কোনো উপায়ে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা হয়ে ওঠেন সর্বভূক এবং ভক্ষণের এই প্রতিযোগিতায় তাঁরা কোনো প্রতিপক্ষ সহ্য করতে চান না। রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস আওয়ামী লীগের ছিল না। তাদের লালিত নীতি ছিল ‘মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার!’ ছিঁচকে চুরির অভ্যাস রপ্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ।   

১২টি জাতীয় সংসদের কতজন সদস্য জানতেন অথবা ভবিষ্যতেও যাঁরা নির্বাচিত হবেন, জাতীয় সংসদের মূল কাজ দেশ ও জনগণের কল্যাণে আইন প্রণয়ন করা। আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া অথবা আইনে কী আছে, তা জানার চেষ্টাও করেন না। স্পিকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ১২টি জাতীয় সংসদের কতজন সদস্য জানতেন সমস্বরে ‘হ্যাঁ,’ বা ‘না’ উচ্চারণ করেন। আইন পাস হয়ে যায়। সংসদ সদস্যরা কেবল নিজ এলাকায় কোনো না কোনো ব্যয়বহুল প্রকল্প নিতে তদবির করেন। প্রকল্প মানেই ঠিকাদারি, ঠিকাদারি মানেই প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার অবারিত সুযোগ। যে কোনো উপায়ে ‘ক্ষমতা’য় গিয়ে তাঁরা বাস্তবে জনগণের মনিব হয়ে ওঠেন এবং গণবিরোধী আচার-আচরণ শুরু করেন। এই গণবিরোধী হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মতো মুনশিয়ানা অন্য কোনো দল প্রদর্শন করতে পারেনি। বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখন তারা আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করতে যে চেষ্টা করেনি, তা নয় কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো অন্যায়-অনাচার ও দুর্নীতির খেলায় নেমে বিএনপি নিজেদের নিতান্তই শিশু বলে প্রমাণ করেছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং পারিষদবর্গের পলায়নে বিএনপি প্রায় খেলোয়াড়শূন্য রাজনৈতিক ময়দানে বাধাহীন গোল দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, যেন এমন সুযোগ আর কখনো তারা পাবে না। নির্বাচনে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য কোনো বিলম্ব মেনে নিতে তারা রাজি নয়।

আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা দানবে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষকে সহ্য না করার যে দীক্ষা ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের মধ্য দিয়ে লাভ করেছিল, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই দীক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে হেন অন্যায় নেই করেনি। রাষ্ট্রকে শেখ মুজিব যেমন তাঁর ব্যক্তিগত উত্তরাধিকারে পরিণত করেছিলেন, সেই উত্তরাধিকারকে বংশপরম্পরায় অব্যাহত রাখার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন শেখ হাসিনা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে গণতন্ত্রের ইতিহাসে জঘন্যতম তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এসব নির্বাচনকে ‘নির্বাচন’ বললেও যে কোনো দেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে অপমান করা হবে। বিধির বিধানে তার ক্ষমতার আসন উল্টে না গেলে তার ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’-এর অধীনে জনগণ শেখ পরিবারের প্রজায় পরিণত হতে আর বেশি দিন লাগত না।

আগেই উল্লেখ করেছি, ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ যুক্তফ্রন্টের প্রধান শরিক হিসেবে প্রথমবার ‘ক্ষমতা’র স্বাদ গ্রহণ শুরু করেছিল। কিন্তু আওয়ামী মুসলিম লীগ ও এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টির মধ্যে সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতার পুরো স্বাদ নিতে না পেরে উন্মাদ হয়ে উঠেছিল। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র নেতায়। এ কথা সত্য, তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও বাঙালিদের ক্ষমতা লাভের পথে বাধা সৃষ্টি করা হলে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন জনগণের সেবা ও তাদের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতার সব চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্যর আস্বাদনে মরিয়া হয়ে উঠেছিল, তার সূচনা ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, যার ওপর সামান্য আলোকপাত করা আবশ্যক।

পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলকে উপনিবেশের মতো ব্যবহার করার জন্য ব্রিটিশ শাসনের কায়দায় পাকিস্তানি শাসকরাও তাদের পছন্দনীয় ব্যক্তিকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘গভর্নর’ পদে নিয়োগ করতেন তাদের স্বার্থ দেখাশোনা এবং বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের ওপর খবরদারি করার জন্য। এ ঘটনাই ঘটেছিল ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী যুক্তফ্রন্ট সরকারকে স্বেচ্ছাচারমূলকভাবে ভেঙে গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনালগ্নেই তা বানচাল করে পূর্ব পাকিস্তানে স্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে। এ জন্য আওয়ামী লীগও কম দায়ী ছিল না। 

নূরুল আমিনের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগকে হটানোর উদ্দেশে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট মিলিতভাবে নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রাদেশিক আইনসভার ৩০৯ আসনের মধ্যে মুসলিম লীগ লাভ করে মাত্র ১০টি আসন। যুক্তফ্রন্ট ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে জয়ী হয়। এর মধ্যে প্রধান শরিক আওয়ামী মুসলিম লীগ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অর্থাৎ ১৪৩টি আসন পেলেও যুক্তফ্রন্টের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয় এ কে ফজলুল হককে। মন্ত্রিসভা গঠন প্রশ্নে মতপার্থক্য সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ প্রথমে মন্ত্রিসভায় যোগদানে বিরত থাকলেও পরে তাদেরই অধিকসংখ্যক মন্ত্রী নেওয়া হয়। কিন্তু যুক্তফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অবসান না ঘটায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল ও পূর্ব বাংলায় গভর্নরের শাসন জারি করা হয়।

১৯৫৫ সালে যুক্তফ্রন্ট সংসদীয় দল আবার বৈঠকে মিলিত হলেও তাতে শরিক দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট ও দৃশ্যমান হয়েছিল। শুধু সংসদীয় দল নয়, রাজনৈতিক ময়দানেও আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব সহ্য না করার নীতি গ্রহণ করে, যার প্রথম প্রদর্শন ঘটে মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) পল্টন ময়দানে আয়োজিত জনসমাবেশে হামলা চালিয়ে পণ্ড করার মধ্য দিয়ে। প্রদেশে তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা ছিল। কৃষক শ্রমিক পার্টি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তিশালী ছিল। তাদের টানাপোড়েনে প্রাদেশিক সরকারের ও কেএসপি ও আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটেনি। একের পর এক প্রাদেশিক সরকার পরিবর্তিত হতে থাকে। নতুন একটি দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার মতো ধৈর্য ও সহনশীলতা দুটি দলেরই ছিল না। এক দল ক্ষমতায় না থাকলে আরেক দল স্বস্তি বোধ করে, তাদের প্রতিপক্ষ দল ক্ষমতায় নেই।

আইনসভার কিছু সদস্যের নাম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কেএসপি ও আওয়ামী লীগের তালিকায় ছিল। গভর্নর উভয় দলের নেতাদের ডেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের তাঁর সামনে উপস্থিত করে তাদের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করতে বলেন। একদিন সকালে কেএসপির বর্ষীয়ান নেতা ও কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য মি. আলীকে সঙ্গে নিয়ে গভর্নমেন্ট হাউসে যান। গভর্নর সুলতানউদ্দীন আহমেদকে জানান, মি. আলী কেএসপির সদস্য এবং তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য নন। গভর্নরের এডিসি মেজর এস জি জিলানি তাঁর ‘ফিফটিন গভর্নরস আই সার্ভড উইথ’ গ্রন্থে বর্ণনা দিয়েছেন, ওই রাতেই সাড়ে ১১টার দিকে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্রুতবেগে দুটি গাড়ি আসে। প্রথম গাড়ি থেকে নামেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর পেছনে অন্যান্যের মধ্যে মি. আলী ছিলেন, যিনি সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে এসেছিলেন। তাঁর চুল এলোমেলো, পরনে লুঙ্গি এবং চেহারা বিধ্বস্ত। শেখ মুজিবুর রহমান এবং আরও দুই ব্যক্তি তাঁকে নিয়ে গভর্নরের পাঠকক্ষে যান। জানা যায়, মি. আলী সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে এসে কেএসপির পক্ষে তাঁর সমর্থনসূচক স্বাক্ষর দিয়েছেন জানার পর আওয়ামী লীগ নেতারা বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পিটিয়েছেন, হুমকি দিয়েছেন এবং এখন সঙ্গে এনেছেন কেএসপির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করানোর জন্য। তিনি গভর্নরকে বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস তাঁকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে এনেছিলেন। আসলে তিনি আওয়ামী লীগের লোক, এখন তিনি তাঁর ভুল সংশোধন করতে এসেছেন।

গভর্নরের শাসনের অবসানের পর প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিন ছিল ১৯৫৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সদস্য দেওয়ান মাহবুব আলী স্পিকার কেএসপিদলীয় আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে এই মর্মে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন যে স্পিকার হাকিম ‘মানসিক অপ্রকৃতিস্থ’ ব্যক্তি এবং দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য। এ নিয়ে আইনসভায় প্রচণ্ড হট্টগোল শুরু হয়। সদস্যরা পরস্পর হাতাহাতি করেন। তিন দিন পর ১৯৫৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাদেশিক আইনসভার অধিবেশন বসলে সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী। তিনিও কেএসপির সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগ ডেপুটি স্পিকার পদে তাঁকে সমর্থন করেছিল। তিনি তাঁর সূচনা বক্তব্য দিতে শুরু করলে কেএসপি ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা তিন দিন আগের মতোই সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এবারের সংঘর্ষ ছিল আরও ভয়াবহ। তাঁরা হাতের কাছে যা পান তা নিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যান। একপর্যায়ে একটি পেপারওয়েট অথবা কোনো কোনো বর্ণনায় চেয়ারের হাতল ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর ওপর গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর আহত হন। দুই দিন পর তিনি হাসপাতালে মারা যান। ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীকে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটে, দেশ চলে যায় সামরিক শাসনের আওতায়।

ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর ওপর হামলার জন্য শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যকে দায়ী করা হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচারপতি আসীর কমিশন রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত একাধিক দলিলে হামলার আগে ও পরে শেখ মুজিবের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্পিকার আবদুল হাকিম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছে পাঠানো এক টেলিগ্রামে উল্লেখ করেন :

“Mujibur Rahman over Telephone several  times threatened me with violence of the    worst sort saying I will not be allowed to enter the Assembly. Will be bodily removed adding that no local police will be of help to me. Relation of mine was assaulted last evening. I seek your advice.” (Justice Asir Commission Report)

(মুজিবুর রহমান টেলিফোনে বেশ কয়েকবার আমাকে এই বলে মারাত্মক ধরনের সহিংসতার হুমকি দিয়েছিলেন যে আমাকে অ্যাসেম্বলিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমাকে সশরীরে অপসারণ করা হবে এবং স্থানীয় পুলিশ আমার কোনো সহায়ক হবে না। গত সন্ধ্যায় আমার এক আত্মীয়ের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। আমি আপনার পরামর্শ কামনা করছি)।

কেএসপির আবু হোসেন সরকার প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছে পাঠানো ফনোগ্রামে বলেন :

“Mujibur Rahman and other leaders attacked Speaker with spears, rods and microphone stands, imported armed goondas by Awami Leaguers rushed inside Assembly from outside attacked Speaker and opposition members encircling Speaker to save his life were molested and beaten, despite frantic appeal police refused help, some opposition members wrongfully confined in Awami Minister’s house, others threatened with attack anywhere any time.” (Justice Asir Commission Report)

(মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য নেতারা স্পিকারকে বর্শা, লোহার রড এবং মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগাররা বাইরে থেকে সশস্ত্র গুন্ডাদের অ্যাসেম্বলির ভিতরে এনেছিল, যারা স্পিকারের ওপর আক্রমণ করে। বিরোধীদলীয় সদস্যরা স্পিকারের জীবনরক্ষার জন্য তাঁকে ঘিরে রাখলেও তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ ও তাঁকে প্রহার করা হয়। সাহায্যের জন্য পুলিশের কাছে কাতর অনুনয় করা সত্ত্বেও পুলিশ সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিছু বিরোধীদলীয় সদস্যকে ভুলবশত আওয়ামী মন্ত্রীর বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্যদের ওপর যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ে আক্রমণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল)।

                লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
শাসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসিহত
শাসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসিহত
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির নৈরাজ্য
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির নৈরাজ্য
কেন দরকার রাজনৈতিক সরকার
কেন দরকার রাজনৈতিক সরকার
হুমকির মুখে ঢাকা
হুমকির মুখে ঢাকা
নির্বাচিত সরকার
নির্বাচিত সরকার
ইসলামে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম
ইসলামে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম
শরিয়াহভিত্তিক অর্থায়ন : মুরাবাহা ও ইজারা পদ্ধতি
শরিয়াহভিত্তিক অর্থায়ন : মুরাবাহা ও ইজারা পদ্ধতি
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না
বন্যা-ভাঙনে দিশাহারা
বন্যা-ভাঙনে দিশাহারা
ঘুষ-দুর্নীতির দৌরাত্ম্য
ঘুষ-দুর্নীতির দৌরাত্ম্য
সর্বশেষ খবর
মেটার এআই টুল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতালি
মেটার এআই টুল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতালি

২৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত
ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে : মেয়র শাহাদাত
জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে : মেয়র শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জয়পুরহাটে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
জয়পুরহাটে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান
পঞ্চগড়ে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিএমপির তিন ওসির রদবদল
সিএমপির তিন ওসির রদবদল

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফরিদপুরে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি
ফরিদপুরে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবিতে দল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মস্থলে বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা
শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বাউবিতে দল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মস্থলে বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের তৎপরতা
নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের তৎপরতা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন
ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আটক
বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদক পাচারের চেষ্টাকালে আটক ৩
মাদক পাচারের চেষ্টাকালে আটক ৩

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার
কলাপাড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাঘ মহড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
মোংলায় বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাঘ মহড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল
এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৩১৬
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১,৩১৬

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউইয়র্কে দিদারুলকে স্মরণ, মরণোত্তর পদোন্নতির দাবি
নিউইয়র্কে দিদারুলকে স্মরণ, মরণোত্তর পদোন্নতির দাবি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন
চার খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধিভঙ্গের ৫১ অভিযোগ
এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধিভঙ্গের ৫১ অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমাদের প্রধান লক্ষ্য সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : বিআরটিএ চেয়ারম্যান
আমাদের প্রধান লক্ষ্য সব যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : বিআরটিএ চেয়ারম্যান

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন হামলার হুমকিতে উদ্বেগ রাশিয়ার
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন হামলার হুমকিতে উদ্বেগ রাশিয়ার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের পর সক্রিয় হয়ে উঠল রাশিয়ার ক্লুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি
ভূমিকম্পের পর সক্রিয় হয়ে উঠল রাশিয়ার ক্লুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মরহুম শফিউল আলম প্রধানের বড় বোনের ইন্তেকাল
মরহুম শফিউল আলম প্রধানের বড় বোনের ইন্তেকাল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০০ কোটির সাম্রাজ্য, ব্যবসায়ও সফল কৃতি স্যানন
১০০ কোটির সাম্রাজ্য, ব্যবসায়ও সফল কৃতি স্যানন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
৫ আগস্ট দুপুরে বুঝতে পারি, হাসিনার পতন হবে: জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন
৫ আগস্ট দুপুরে বুঝতে পারি, হাসিনার পতন হবে: জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিবি হারুনকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আইজিপির জবানবন্দি
ডিবি হারুনকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আইজিপির জবানবন্দি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ
একাত্তর নিয়ে বক্তব্যের পর আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি জানতাম: জবানবন্দিতে মামুন
ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি জানতাম: জবানবন্দিতে মামুন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী
হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার
১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস
বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর
রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু
অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক
মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ
রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ
দুদকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল
এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে
পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তির আগেই বক্স অফিসে ‘কিংডম’ ঝড়
মুক্তির আগেই বক্স অফিসে ‘কিংডম’ ঝড়

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি
কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্যাপিটাল মার্কেট আবার ঘুরে দাঁড়াবে’
‘ক্যাপিটাল মার্কেট আবার ঘুরে দাঁড়াবে’

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি
সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের
‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত
রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংক খাতের ইতিহাসে রেকর্ড খেলাপি ঋণ
ব্যাংক খাতের ইতিহাসে রেকর্ড খেলাপি ঋণ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুলাই)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর
রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক আইজিপির জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সাবেক আইজিপির জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ডের গডফাদার
ঢাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ডের গডফাদার

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবিধানিক নয়, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পক্ষে বিএনপি
সাংবিধানিক নয়, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পক্ষে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ডুবে যাচ্ছে ঝুলন্ত সেতু
ডুবে যাচ্ছে ঝুলন্ত সেতু

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন ক্যাটাগরিতে শিল্পে নতুন গ্যাস
তিন ক্যাটাগরিতে শিল্পে নতুন গ্যাস

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে
সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তির উৎসবে অনুদান চেয়ে চিঠি বিতর্কে রাবির সমন্বয়ক আম্মার
মুক্তির উৎসবে অনুদান চেয়ে চিঠি বিতর্কে রাবির সমন্বয়ক আম্মার

নগর জীবন

বাড়ছে শিল্পীদের পারিশ্রমিক কমছে নাটকের মান
বাড়ছে শিল্পীদের পারিশ্রমিক কমছে নাটকের মান

শোবিজ

জীবনযুদ্ধে হার মানছে পকেট
জীবনযুদ্ধে হার মানছে পকেট

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হতে পারে না
বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হতে পারে না

পেছনের পৃষ্ঠা

অচল হাসপাতালের আসবাবপত্র কিনতে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
অচল হাসপাতালের আসবাবপত্র কিনতে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

নগর জীবন

খসড়ার কিছু অংশ বিপজ্জনক
খসড়ার কিছু অংশ বিপজ্জনক

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ মুহূর্তে দেনদরবার
শেষ মুহূর্তে দেনদরবার

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন দরকার রাজনৈতিক সরকার
কেন দরকার রাজনৈতিক সরকার

সম্পাদকীয়

পাচারের ফাঁদ এখন প্রযুক্তি
পাচারের ফাঁদ এখন প্রযুক্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে বাধা ছিল
আগে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে বাধা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে প্যাকেজ প্রস্তাব
যুক্তরাষ্ট্রকে প্যাকেজ প্রস্তাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্যায় ফের ডুবল ফেনী
বন্যায় ফের ডুবল ফেনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনি ভিত্তি ছাড়া খসড়া গ্রহণ করবে না এনসিপি
আইনি ভিত্তি ছাড়া খসড়া গ্রহণ করবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি আচরণবিধিতে আসছে নতুন প্রস্তাব
নির্বাচনি আচরণবিধিতে আসছে নতুন প্রস্তাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ববিতাও অবাক হবেন...
ববিতাও অবাক হবেন...

শোবিজ

সরকার কাজ করছে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য
সরকার কাজ করছে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রাণ ফিরেছে কুয়েট ক্যাম্পাসে
প্রাণ ফিরেছে কুয়েট ক্যাম্পাসে

নগর জীবন

পাঁচ উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ড
পাঁচ উইকেট শিকারের বিশ্ব রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

শোক প্রত্যাখ্যান করে লাল রঙে প্রতিবাদ
শোক প্রত্যাখ্যান করে লাল রঙে প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ
দুই চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ক্যাপিটাল ড্রামায় - দেরি করে আসবেন
ক্যাপিটাল ড্রামায় - দেরি করে আসবেন

শোবিজ

পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার
পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা