শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪ আপডেট:

কঠিন বাস্তবতায় টিকে থাকা নাম বেগম খালেদা জিয়া

অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
কঠিন বাস্তবতায় টিকে থাকা নাম বেগম খালেদা জিয়া

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ পর্যায়ে তখন। চারদিকে ধ্বংস আর ধ্বংসাবশেষ। প্রলয়ংকরী এমনই একসময়ে ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদার দম্পতির কোলজুড়ে নতুন ভোরের দীপ্তি নিয়ে আগমন করেন খালেদা খানম পুতুল। সময়ের পরিক্রমায় বাবা-মায়ের আদরের সেই পুতুলই বর্তমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সমার্থক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই থেকে দিনাজপুরের এক অরাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে খালেদা খানমের বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের সঙ্গে যুগপৎ পথচলা শুরু। দিনে দিনে বাংলার আপামর জনতার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক, সুখ-দুঃখের সারথি বনেছেন। মানুষ তাঁকে ভালোবেসে দেশনেত্রী উপাধিতে ভূষিত করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। তাই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আপসহীনতার প্রতীক। গণতন্ত্রের জন্য তাঁর দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম তাঁকে ভূষিত করেছে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ খেতাবে। তবে তাঁর এই দেশনেত্রী বা মাদার অব ডেমোক্রেসি হয়ে ওঠার পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রথমলগ্ন থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার কণ্টকাকীর্ণ পথচলা শুরু। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে অভিভাবকহীন দিশাহারা জাতির জন্য যখন আলোকবর্তিকা হয়ে জিয়াউর রহমানের অভ্যুদয় ঘটল তখন থেকেই বেগম জিয়ার সংগ্রামী জীবনের সূচনা। দেশমাতৃকার টানে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ‘I Revolt’ বলে বিদ্রোহের সূচনা করেন এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পরিবার-পরিজন রেখে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দুই শিশুপুত্র নিয়ে সেই অনিশ্চিত ও ঘোরতর অমানিশার মাঝে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন। কিছুদিন চট্টগ্রামে অবস্থান করে সেখান থেকে বড় বোন খুরশিদ জাহান হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুই সন্তানসহ লঞ্চযোগে ১৬ মে ১৯৭১ নারায়ণগঞ্জে পৌঁছান। তবে তিনি বেশি দিন পালিয়ে থাকতে পারেননি। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়ের চেষ্টাকালে পাকবাহিনী তাঁর সন্ধান পেয়ে যায় এবং ২ জুলাই এস কে আবদুল্লাহর সিদ্ধেশ্বরীর বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত তিনি সামরিক হেফাজতে বন্দিজীবন কাটান।

পাকবাহিনীর দীর্ঘ জুলুম, নির্যাতন ও অপশাসন থেকে মুক্তিলাভের পর জিয়া সামরিক শৃঙ্খলা মেনে ব্যারাকে ফিরে যান এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে থাকেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল পরিক্রমার মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়া জনতার জিয়ায় পরিণত হন। ঐতিহাসিক সিপাহি জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়া শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। রাষ্ট্রপতি জিয়ার শাসনকালে বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই পাদপ্রদীপের পেছনে ছিলেন। রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান করে একজন আপাদমস্তক গৃহবধূ হিসেবে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে তিনি স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশে সফর করেছিলেন। রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও স্বামী জিয়ার দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা, নেতৃত্বদানের বলিষ্ঠতা বেগম জিয়ার মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাই তো ১৯৮১ সালের ৩০ মে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর বুলেটের আঘাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবরণের পর তাঁর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের দায়িত্বভার গ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলছেন বাংলার এই অবিসংবাদিত কিংবদন্তি।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে প্রেসিডেন্ট জিয়া শাহাদাতবরণ করলে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে আন্তঃকলহ প্রকট হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় প্রয়োজন ছিল সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন নেতা। যিনি শহীদ জিয়ার দেখানো পথে তাঁর প্রবর্তিত আদর্শকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলকে পরিচালিত করতে পারবেন। নিভৃতচারী বেগম খালেদা জিয়াই ছিলেন সেই আইকনিক ব্যক্তিত্ব। তৎকালীন বিএনপি নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তিনি শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। সেই থেকে তাঁর বিপ্লব ও সংগ্রামের সূচনা। ১৯৮৩ সালের মার্চে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিচারপতি আবদুস সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর ১৯৮৪ সালের ১০ মে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন এবং এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৮৩ সাল থেকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি রাজপথে জনতার কাতারে নেমে এসে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো এরশাদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। নব্বই দশকের সেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অনেকেই সমঝে চলার নীতি গ্রহণ করলেও বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে কোনো আপস করেননি। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে ‘আপসহীন নেত্রী’ উপাধিতে ভূষিত করল। একাধিকবার তিনি স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের রোষানলে পড়েন। তাঁকে মোট চারবার- ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে এবং ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর আটক করা হয়। ১৯৮৭ সালে হোটেল পূর্বাণী থেকে আটক করে আরও কয়েকজন নেতাসহ তাঁকে মতিঝিল থানায় নেওয়া হয়। তবে সে সময় পুলিশ তাঁকে জেলে পাঠায়নি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁকে এক প্রকার গৃহবন্দি করে রাখা হয়। কিন্তু তিনি দমে যাননি। সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য তিনি সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বারবার দীপ্তি ছড়িয়েছেন। অতঃপর দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে নব্বইয়ের ছাত্র-জনতার প্রবল গণ অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। জনগণের মুক্তির জন্য আপসহীন সংগ্রামী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের রায়ে বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ শপথ গ্রহণ করেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি আরও দুবার বিজয়লাভ করে। ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর তিনি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

গণতন্ত্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম এখনো অব্যাহত রয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের মতোই আধিপত্যবাদী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি বারবার তাঁর ওপর খড়গহস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তী সময়েও তাঁকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে। রাজনীতি থেকে তাকে মাইনাস করে দেওয়ার এক নীলনকশা প্রস্তুত করেছিল এক-এগারোর অবৈধ সরকার। নানারূপ হুমকি-ধমকি, প্রলোভন দেখিয়েও তাঁকে দেশছাড়া করা সম্ভব হয়নি। এ দেশের মানুষের সঙ্গেই তিনি নিজের ভাগ্যকে মিলিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রবীণ অবস্থায় এসেও অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের মুক্তির পক্ষে কথা বলার কারণে তাঁকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি থাকতে হচ্ছে। কিন্তু তিনি হার মানেননি; আধিপত্যবাদী শক্তির আগুনসদৃশ লাল চোখের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি গণতন্ত্রের, জাতীয় ঐক্যের, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। ২০১৭ সালে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘এ দেশের গতিপ্রকৃতির সঙ্গে আমার নাম লেখা হয়ে গেছে।’ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবরণের আগের দিন তিনি এক বার্তায় বলেন, ‘কম বয়সে স্বামীকে হারিয়েছি। দেশের জন্য জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছেন। কারাগারে থাকতে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। অফিসে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় একটি সন্তান হারিয়েছি। আরেকটি সন্তান দূরদেশে চিকিৎসাধীন। আমার স্বজনহীন জীবনে দেশবাসীই আমার স্বজন। আমি যেমন থাকি, যেখানেই থাকি, যতক্ষণ বেঁচে থাকব দেশবাসীকে ছেড়ে যাব না।’ প্রকৃত অর্থেই তিনি এ দেশের দেশপ্রেমিক আপামর জনতার আস্থা ও বিশ্বাসের মূল কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। ১৯৯১ সালে আধিপত্যবাদী শক্তির দোসরদের বিপরীতে সগর্বে মাথা উঁচু করে বেগম খালেদা জিয়া উচ্চারণ করেছিলেন, ‘ওদের হাতে গোলামির জিঞ্জির; আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা।’ এই ভয়ডরহীন আত্মমর্যাদাবোধই তাঁকে রাজনীতির উচ্চাসনে আসীন করেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গেঁথে দেওয়া বুনিয়াদের ওপর দাঁড়িয়ে একটি সার্বভৌম মর্যাদাসম্পন্ন, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় তাঁর মাঝে রয়েছে, তা আর কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাঝে মেলাভার। ভূরি ভূরি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি, গালগল্পের ভিড়ে বেগম জিয়ার ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’- এই একটি বাক্যই দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির বর্ণনা দিতে যথেষ্ট। ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছিলেন, যা আজও বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

বিপ্লবী বেগম জিয়া বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের পাশে থাকার পুরস্কারস্বরূপ তিন-তিনবার এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণ যখনই সুযোগ পেয়েছে, তখনই তাঁকে নির্বাচিত করেছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার উচ্চাসনে আসীন হয়েও তিনি জনগণের পাশেই ছিলেন। দেশ গড়ার লক্ষ্যে, ভাগ্যবিড়ম্বিত আপামর জনতার ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজেকে ব্রত রেখেছেন। স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ-তিতিক্ষাকে অমর করে রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সমুজ্জ্বল রাখার লক্ষ্যে প্রভূত কাজ করেছেন। তিনি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন; দুই শিশুপুত্রসহ মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে তিনি অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার রয়েছে প্রবল আবেগ। তিনি ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষা ও স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জাতির সম্মান প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন। ২০০১ সালে সরকার গঠন করে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ সাধন ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুব্যবস্থা গ্রহণে সরাসরি সরকারকে সম্পৃক্ত করার নিমিত্তে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযোদ্ধা রেদোয়ান আহমদ এ মন্ত্রণালয়ের প্রথম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে খুঁজে বের করে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক ‘বীরপ্রতীক’ হস্তান্তর করা হয়। তিনি পাকিস্তানে অসম্মানিত অবস্থায় পড়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালের ২৪ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের দেহাবশেষ গ্রহণ করেন। অতঃপর তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দেশের মাটিতে সমাহিত করা হয়। এর আগে ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া এক জনসভায় ঘোষণা করেন, শিগগিরই মতিউরের দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে খুলনায় একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সরকারের আমলে এসে সেটি পরিবর্তন করে দেওয়া হয়! দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিকদের স্মৃতি রক্ষার্থে এরকম আরও স্থাপনাসমূহের নামকরণ করেন।

তিন দফায় সরকার গঠন করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেগুলো এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা ও ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ এসবের মধ্যে অন্যতম। খালেদা জিয়ার সরকার রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনায় ৬০টি সংসদীয় কমিটি গঠন করেন, যাতে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের গুরুত্বসহকারে অবস্থান দেওয়া হয়।

শিক্ষা খাতে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন এবং মেয়েদের জন্য দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা তাঁর সরকারের অন্যতম অবদান। তাঁর সরকারের আমলেই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন তাঁর সরকারের আমলেই গৃহীত হয়। তিনি জিয়াউর রহমানের অর্থনীতির অনুসরণ করে প্রাইভেটাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের হার ৫৫ থেকে ২৫ শতাংশে নিয়ে আসেন। ব্যবসায় সহজ করার লক্ষ্যে ২৭ ধরনের শুল্ক হ্রাস করে সাত ধরনের আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করেন। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতির সূচনা করেন। দেশের ভূ-ভাগের খনিজ সম্পদকে কাজে লাগাতে বড়পুকুরিয়ায় কয়লাখনি ও মধ্যপাড়ার শ্বেতপাথরের খনি থেকে উত্তোলন কার্যক্রমের সূচনা তাঁর সরকারের আমলেই করা হয়। এ ছাড়াও ভোলা, বঙ্গোপসাগর ও দিনাজপুরে তাঁর শাসনকালে নতুন প্রাকৃতিক গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়া যায়।

বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে নারীদের আত্মনির্ভরশীল রূপে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সহজ শর্তে ঋণসেবা সহায়তায় তিনি আনসার-ভিডিপি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাস্থ্য খাতে সমস্যা ও সংকট নিরসনে তাঁর সরকারসমূহের কার্যক্রম সুবিদিত। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং জেলা কমপ্লেক্সকে ১০০ থেকে ২৫০ এবং ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের জন্য তাঁর সরকার সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সময়েই সেলুলার ফোন ও আইএসডি ফোনের সূচনা হয়; অন্তত ৩ লাখ টেলিফোন সংযোগ চালু করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ৩৩০টি উপজেলাকে বিদ্যুতায়নের আওতায় নিয়ে আসে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১ হাজারেরও বেশি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেন। ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার প্রবল গুরুত্ব দেয়। তাঁর সরকারের আমলে এ দেশে অসংখ্য মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও অন্যান্য উপাসনালয় নির্মাণে সরকারি তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করা হয়। ঢাকার আশকোনায় হজযাত্রীদের সুবিধার্থে একটি স্থায়ী হাজি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়াও তাবলিগ জামাতের বৃহৎ সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে অতিরিক্ত ৩০০ একর জমির বন্দোবস্ত করে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিতকরণ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় সংগ্রাম ও রাষ্ট্র গঠনে অবিস্মরণীয় অবদান রাখা এই মহীয়সী নারীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় যখন, তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ১৯৮৪ সালে তখন আমরা আমার সিভিল সার্জন বাবার কর্মস্থল পিরোজপুরে ছিলাম। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে তখন তিনি বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক সফর করছিলেন। এমনি এক সফরে তিনি পিরোজপুরে আসেন এবং সাবেক মন্ত্রী আফজাল সাহেবের বাসায় অবস্থান করেন। আফজাল সাহেবের বাসার ঠিক বিপরীতে ছিল আমাদের বাসা। তিনি যখন বিদায় নিচ্ছিলেন, তখন আমি তাঁর সাদা করোলা গাড়িটির দরজা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাকে দেখে প্রথমে তিনি বললেন, ‘এই ছেলে, সরো।’ কথার স্বর না থামতেই তিনি মায়াবী কণ্ঠে বললেন, ‘কী নাম তোমার? কোন ক্লাসে পড়ো?’ আমি কোনো ভয় না পেয়ে উত্তর দিলাম। এরপর তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেই ছিল আমার প্রথম কথোপকথন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এই জীবন্ত কিংবদন্তি মাদার অব ডেমোক্রেসি খ্যাত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৯ বছর। কিন্তু বরাবরের মতো এই বয়সে এসেও তাঁকে নানারূপ জুলুম, অবিচারের শিকার হতে হয়েছে। শাসকশ্রেণি আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঔজ্জ্বল্য রুখতে অসংখ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু যে নামের অর্থই ঔজ্জ্বল্য, তাঁর আবির্ভাবকে কি চিরতরে রুদ্ধ করা যায়! যায়নি। তিনি বারবার দ্যুতি ছড়িয়েছেন। যে ‘বাংলাদেশবাদ’ জিয়া এই জাতিকে দিয়ে গেছেন, সেই দর্শনের ঝান্ডা হাতে নিয়ে তিনি আগুয়ান হয়েছেন; জীবনের ঘোরতর সংকটাপন্ন অবস্থায় থেকেও জাতিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। জাতিও তাঁর ওপরে আস্থা রেখেছে অদ্যাবধি। এ ধারা অব্যাহত থাকবেই। 

লেখক : অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,

গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি ও মহাসচিব, ইউট্যাব

এই বিভাগের আরও খবর
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
কোরআনে বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ
কোরআনে বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
ইরানে হামলা
ইরানে হামলা
ইউনূস-তারেক বৈঠক
ইউনূস-তারেক বৈঠক
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
পুশইন বিড়ম্বনা
পুশইন বিড়ম্বনা
সর্বশেষ খবর
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
বগুড়ায় উন্নয়নের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি

৩ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার বাস চালককে আদালতে প্রেরণ
হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার বাস চালককে আদালতে প্রেরণ

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোটকেন্দ্র মেরামত করতে চার সচিবকে ইসির চিঠি
ভোটকেন্দ্র মেরামত করতে চার সচিবকে ইসির চিঠি

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

দুর্নীতি মামলায় যবিপ্রবি’র সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার কারাগারে
দুর্নীতি মামলায় যবিপ্রবি’র সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার কারাগারে

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও মাদকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শপথ
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও মাদকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শপথ

২১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

এক জনপ্রিয় ক্রিকেটার অবসর নিতে বলেছিলেন, অভিযোগ করুণ নায়ারের
এক জনপ্রিয় ক্রিকেটার অবসর নিতে বলেছিলেন, অভিযোগ করুণ নায়ারের

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুর এক্সপ্রেসসহ ১৪ আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ছে নির্দিষ্ট সময়ের পরে
রংপুর এক্সপ্রেসসহ ১৪ আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ছে নির্দিষ্ট সময়ের পরে

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি পেতে জলকেলিতে মেতেছে শিশুরা
ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি পেতে জলকেলিতে মেতেছে শিশুরা

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলানিউজের নিউজরুম এডিটর তানজিদা পাপড়ির মৃত্যু
বাংলানিউজের নিউজরুম এডিটর তানজিদা পাপড়ির মৃত্যু

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়পুরহাটে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেফতার ২
জয়পুরহাটে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক এমপি সাফিয়া গ্রেফতার
হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক এমপি সাফিয়া গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিন্ময় দাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
চিন্ময় দাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৌলভীবাজারে স্কুলছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন
মৌলভীবাজারে স্কুলছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘টিউলিপ সিদ্দিক দুদকের কাছে পলাতক আসামি’
‘টিউলিপ সিদ্দিক দুদকের কাছে পলাতক আসামি’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৬তম ইন্টেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন আয়োজনে প্রস্তুত ঢাকা
১৬তম ইন্টেক্স বাংলাদেশ এক্সিবিশন আয়োজনে প্রস্তুত ঢাকা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গা মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
ভাঙ্গা মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে ঈদ আনন্দ-আড্ডা : প্রবাসে মিলনমেলা ও উৎসবের ছোঁয়া
সিডনিতে ঈদ আনন্দ-আড্ডা : প্রবাসে মিলনমেলা ও উৎসবের ছোঁয়া

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানানোর আহ্বান সালাহউদ্দিনের
লন্ডনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানানোর আহ্বান সালাহউদ্দিনের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে : আইন উপদেষ্টা
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে : আইন উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

১০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সরকার পরিবর্তনে’ এটিই সুযোগ, ইরানের সাবেক যুবরাজের উস্কানি
‘সরকার পরিবর্তনে’ এটিই সুযোগ, ইরানের সাবেক যুবরাজের উস্কানি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপন হামলার প্রস্তুতির সময় ইরানে মোসাদের দুই সদস্য আটক
গোপন হামলার প্রস্তুতির সময় ইরানে মোসাদের দুই সদস্য আটক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি দুই গুপ্তচরকে গ্রেফতারের দাবি ইরানের
ইসরায়েলি দুই গুপ্তচরকে গ্রেফতারের দাবি ইরানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল শিগগিরই চুক্তিতে আসছে— দাবি ট্রাম্পের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে দুই দিনে নিহত ১২৮

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন