বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

না ফেরার দেশে ইবনে মিজান

শোবিজ প্রতিবেদক

না ফেরার দেশে ইবনে মিজান

না ফেরার দেশে চলে গেলেন এক সময়ের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক ইবনে মিজান। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার করোনা শহরে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই পরিচালক। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ইবনে মিজানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার নামাজে জানাজা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বাদ জোহর করোনা মসজিদে অনুষ্ঠিত ও পরে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, প্রযোজক, পরিবেশক ও প্রদর্শক সমিতি গভীর শোক জানিয়েছে। ছয় সন্তানের জনক চলচ্চিত্র পরিচালক ইবনে মিজান চলচ্চিত্র জগৎ ছেড়ে দিয়ে ১৯৮৯ সালে সপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়া শহরে চলে যান এবং করোনা শহরে তার বড় ছেলে টিটো মিজানের বাসায় ওঠেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ বাসাতেই ছিলেন।

ইবনে মিজানের কয়েকটি উল্লেযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—

নিশান, একালের রূপকথা, আবার বনবাসে রূপবান, রাখাল বন্ধু, জরিনা সুন্দরী, পাতালপুরীর রাজকন্যা, আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী, শহীদ তিতুমীর, নাগিনীর প্রেম, কত যে মিনতি, কমলারানীর দীঘি, ডাকু মনসুর, জিঘাংসা, দুই রাজকুমার, বাহাদুর, শাহজাদা, একমুঠো ভাত, নাগ নাগিনীর প্রেম, পাতাল বিজয়, লাইলী মজনু, পুনর্মিলন, রাজবধূ, বাগদাদের চোর, রাজকুমারী, রাজ নর্তকী, নওজোয়ান, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা ইত্যাদি।

১৯৩৭ সালে সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী ইবনে মিজান তার সময়কালে নন্দিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের স্নাতকোত্তর ছাত্রটির মধ্যে সিনেমার বীজ প্রবেশ করেছিল ছাত্র অবস্থাতেই। কিন্তু চলচ্চিত্রের দর্শকের কাছে ছিলেন গ্রহণীয় চলচ্চিত্রকার। সৃজনের শিল্প কুশলতায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়।

ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশক পর্যন্ত তার সিনেমা মানেই সুপারহিট।

প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা তার ছবির প্রদর্শনে আগ্রহী থাকতেন। ফোক-ফ্যান্টাসি সিনেমার মুকুটহীন সম্রাট ছিলেন।

সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ছবিতেও তার সাফল্য কাহিনী অবিস্মরণীয় বলা যায়। গত ২৫ বছরের বেশি সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর