ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে যে শিল্পীরাও সরব ছিলেন তারাই আবার মাঠে নেমেছেন। শনিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিল্পী সংস্কৃতিকর্মীদের এক সমাবেশ আয়োজিত হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন থিয়েটারকর্মী, আলোকচিত্রী, নির্মাতা, শিল্পী ও সংগীতশিল্পীরা। এদিন এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, দেশের চলমান এ পরিস্থিতিতে এখনকার সময়টি উদযাপনের নয়, বরং সময়টা রাষ্ট্র পুনর্গঠনের। শিল্পীদের কথায়, ‘এই নতুন বাংলাদেশ সব জাতির, সব বর্ণের, সব ধর্মের, সব লিঙ্গের একটি বৈষম্যহীন জনপদ হয়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ এ সময় চার মাধ্যমের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতি পাঠ করেন নির্মাতা ও অভিনেত্রী ঋতু সাত্তার। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণ অভ্যুথান পরবর্তী সময়েও অনাকাক্সিক্ষতভাবে দেশব্যাপী নানা ধর্মীয় সম্প্রদায়, ভিন্নমত ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হত্যা-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। হামলা ও লুটপাট হয়েছে ধর্মীয় উপাসনালয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী ভাস্কর্য, সংগ্রহশালা, জাদুঘর, স্মৃতিস্মারকসহ শিল্পী, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিকর্মীদের বাড়ি। আমরা মনে করি, অগ্নিসংযোগ, হামলা, ধ্বংস ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল, যারা আমাদের এ বিজয়ের সব অর্জন ম্লান করে দিতে চায়।’ এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন - আলোকচিত্রী আমিরুল রাজীব, নির্মাতা অমিতাভ রেজা, অভিনেতা সুমন আনোয়ার, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, নাজিয়া হক অর্ষাসহ অনেকে। সমাবেশের পর শহীদ মিনারে ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ পরিবেশন করেন তানজির তুহিন, আরমীন মুসা, লাবিক কামাল, প্রবর রিপনসহ উপস্থিত শিল্পীরা।