দীর্ঘদিন পর গত বছর আপনার একটি একক অ্যালবাম বাজারে এসেছে। রেসপন্স কেমন?
খুব বেশি রেসপন্সের আশা নিয়ে কিন্তু আমি অ্যালবাম করি না। বলা যায় নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য অ্যালবামটি করা।
অ্যালবামটি তো আপনার নিজের নামে ছিল?
হ্যাঁ, সেলফ টাইটেল অ্যালবাম। মোট ৯টি গান আছে। আমি নিজে সুর করেছি। ছয়টি গান আমি নিজে লিখেছি। বাকি তিনটি গান লিখেছেন মুন্শী ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান মনির ও ফয়সাল আহমেদ।
আপনার গানের প্রতি শ্রোতাদের ভালোবাসা বা চাহিদা কীভাবে দেখেন আপনি?
আমি সবসময় শ্রোতাদের আমার গানের সমালোচক হিসেবে দেখেছি। সমালোচক হিসেবে তারা আমায় যে রায় দিয়েছেন আমি তা মাথা পেতে নিয়েছি। শ্রোতারা যদি আমার গানকে মূল্যায়ন না করতেন তাহলে তাদের কাছে আমার পক্ষে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। ভালোবাসাও পেতাম না।
প্লে-ব্যাক নিয়ে কিছু বলুন।
আমি প্রথম প্লে-ব্যাক করি এহতেশাম পরিচালিত 'গীত কাহি সংগীত কাহি' ছবিতে। এরপর আমি 'নতুন বউ', 'দিওয়ানা', 'দেনা পাওনা', 'চকোরী' ও 'মিস বাংলাদেশ' ছবিতে প্লে-ব্যাক করি। পরে একটা সময় আমাকে আর প্লে-ব্যাক সেভাবে কখনো টানেনি। তাই প্লে-ব্যাকে পরে আর আমাকে পাওয়া যায়নি। যে কারণে এখানে পরবর্তীতে আর কোনোরকম আগ্রহও তৈরি হয়নি।
দেশের বাইরে আপনি কবে কোথায় প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন?
১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। এরপর বহু দেশে গান গেয়েছি।
আপনার গানের শুরুটা জানতে চাচ্ছিলাম...
ছোটবেলা থেকেই ছিল গানের প্রতি আমার মারাত্দক ঝোঁক। শৈশবে সংগীতে আমার হাতেখড়ি হয় ওস্তাদ মরহুম মোহাম্মদ আয়াত উল্লার কাছে। এরপর আরও অনেক ওস্তাদের কাছে গান শিখেছি। তবে নিজের চর্চা জরুরি। প্রচুর চর্চা করেছি। গানের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। এখনো আছে।
- আলী আফতাব