মে দিবস নিয়ে কিছু বলুন।
১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয় মে দিবস। মে দিবসের যে প্রেক্ষাপট সেখানে শ্রমিকদের আত্দত্যাগ। আজ বাংলাদেশের শ্রমিকরাও ভালো নেই, হাজার হাজার শ্রমিককে প্রাণ দিতে হয়েছে মালিকদের অবহেলায়। কিন্তু বারবার তদন্তের নামে প্রহসন হয়েছে। কোনো ঘটনার সঠিক ফয়সালা হয়নি। বাংলাদেশে 'আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা' সনদ বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো আমাদের দেশের শ্রমিকদের ভালো করে শ্রমঘণ্টা নেই, মাতৃকালীন ছুটি নেই, ন্যায্য মজুরি নেই। আজ আমার মনে পড়ছে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটা গানের কথা 'জীবন দিয়ে জানিয়ে গেলাম জীবন অন্ধকার'।
এবারের মে দিবসে আপনি কোন কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন?
সকাল থেকে অনুষ্ঠান করা শুরু হবে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে চ্যানেল আইতে 'গানে গানে সন্ধ্যা', এটিএন-এ দুটি অনুষ্ঠানে আমি থাকছি। সকাল ৮টায় 'গানে গল্পে আমন্ত্রণ' আর রাত ১২টায় 'অন্য দৃষ্টি'। সকাল ৯টায় ওসমানী মিলনায়তনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করব। বিকাল ৩টায় বৈশাখী টিভিতে একটি লাইভ গানের অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় টিএসসিতে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইব। রাতে মাইটিভিতে একটি লাইভ। এ ছাড়া জিটিভিকে 'এই সন্ধ্যা', একাত্তর টিভিতে 'আজব সুন্দর', বিটিভিতে 'অন্তরে অন্তরে' অনুষ্ঠানে আমি থাকব।
আপনার গণসংগীত প্রিয় কেন?
মাতৃপ্রেম বা দেশপ্রেম দুটোই আমাকে বেশ টানে। দেশপ্রেম আমাকে সাহস জোগায়। সংগীতের অনেক শাখা থাকার পরও আমি সারাজীবন গণসংগীত করেছি মানুষের প্রতি মানুষ হিসেবে আমার দায়বদ্ধতা থেকে। আর আমি আজও মানুষের জন্য গান গাই।
আপনি গণসংগীতকে কীভাবে বিশ্লেষণ করেন?
সংগীতের সঙ্গে যখন 'গণ' শব্দটি যুক্ত হয়ে এক ভিন্নধর্মী সংগীত ভাষার জন্ম দেয় তখন তাকে আমরা গণসংগীত বলি। গণসংগীত মুক্তির গান, শোষণ মুক্তির গান এবং মানবমুক্তির গান। সংগীত আমাদের বিশ্বস্ত সহচর। '৫২-এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট, '৬২, '৬৬, '৬৯-সহ বাঙালির অনেক আন্দোলন সংগ্রামের সাথী এই গণসংগীত।
'ও সখিনা গেছোস কিনা ভুইলা আমারে' গানটি নিয়ে কিছু বলুন।
এই গানটা আমার বন্ধু আলতাফ আলী হাসুর একটি গান। ১৯৮২ সালে এই গানটি রচনা করেন। ওই বছর জুয়েল আইচের উপস্থাপনায় 'আনন্দমেলা' অনুষ্ঠানে আমি গানটি গাই। ওই সময়ে গানটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
- আলী আফতাব