ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোতে 'ইত্যাদি'র মূল অনুষ্ঠান ধারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী পর্ব ধারণ করা হয়েছে পার্বত্য জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত খাগড়াছড়িতে। দেশের অন্যান্য দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের তুলনায় খাগড়াছড়ি একেবারেই ভিন্ন। খাগড়াছড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে চারদিকে পাহাড়বেষ্টিত চেঙ্গী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব মাঠে ধারণ করা হয় এবারের 'ইত্যাদি'। চেঙ্গী নদীর তীর ঘেঁষেই অবস্থিত খাগড়াছড়ি। গত ১৯ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির চারদিকে পাহাড়ঘেরা আলোকিত মঞ্চের সামনে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিতি হন 'ইত্যাদি' অনুষ্ঠানের ধারণ পর্ব দেখার জন্য। এতদিন দর্শকরা দেখেছেন পাহাড়ের দিনের সৌন্দর্য, আর এবার তারা দেখলেন রাতের সৌন্দর্য। 'ইত্যাদি'র ধারণ উপলক্ষে পাহাড়কন্যা খাগড়াছড়িতে ছিল উৎসবের আমেজ। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ আশপাশের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে 'ইত্যাদি'র ধারণ উপভোগ করেন। শেকড় সন্ধানী 'ইত্যাদি'র এই ধারণ অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এ দীর্ঘ সময়ে দর্শকরা শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেছেন 'ইত্যাদি'র প্রাণপুরুষ হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় একের পর এক নান্দনিক সব আইটেম। দর্শকদের পর্ব শেষ হলে ধারণ চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। ফাগুন অডিও ভিশন জানায়, স্টুডিওর চার দেয়ালের বাইরে এসে সারাদেশকে দেখা এবং দেখানো, জানা এবং জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রায় ২০ বছর আগে সংসদ ভবনের সামনে ধারণ করা আমাদের একটি অনুষ্ঠান থেকেই এর যাত্রা শুরু। টেলিভিশন অনুষ্ঠানকে স্টুডিওর বাইরে নিয়ে আসার অভিপ্রায়ে গত এক যুগ ধরে আবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে 'ইত্যাদি' মূল অনুষ্ঠানের ধারণ করা হচ্ছে।
'ইত্যাদি'র এ পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে-এ প্রচার হবে ৩০ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। 'ইত্যাদি'র রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।