রঙ্গিন পর্দায় শুরুতেই খোলামেলা হয়ে আবির্ভূত হয়ে আলোড়ন তোলেন সাদিয়া আফরিন। যদিও শুরুটা তার ছোট পর্দায় টিভি নাটক দিয়ে, তবে আইটেম গানের সুবাদে বড় পর্দায় এসেই পরিচিতিটা ছড়িয়ে পড়ে। খোলামেলা শারীরিক উপস্থাপনের কারণে দ্রুতই আলোচনা-সমালোচনাটা বেলুনের মতো ফুলতে শুরু করে। সাম্প্রতি এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ তুলছেন অনেকে। তবে সাদিয়ার কাছেও যুক্তির কমতি নেই। তার মতে 'বোরখা পরে আইটেম গান হয় না। দর্শকদের চাহিদা মাথায় রেখেই আইটেম গার্ল পর্দায় উপস্থিত হন।' পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণও সামনে নিয়ে আসেন তিনি।
চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকনের ‘ডেয়ারিং লাভার’ এ আইটেম গার্ল হিসেবে আবির্ভাব ঘটে এ অভিনেত্রীর। ঢালিউড কিং শাকিব খানের বিপরীতে আইটেম গানটি দর্শক মহলে ব্যাপক আলোচিত হয়। এরপর খোকন রিজভী পরিচালিত ভালবাসলে দোষ কি তাতে ও শাহীন সুমনের মিঞা বিবি রাজী চলচ্চিত্রেও আইটেম গার্ল হিসেবে উত্তেজক দৃশ্যে নিজেকে মেলে ধরেন তিনি। আর সর্বশেষ শফিকুল ইসলাম খানের 'অচেনা হৃদয়' চলচ্চিত্রে অভিযোগের মুখেই পড়তে হয়।
‘অচেনা হৃদয়’ চলচ্চিত্রের আইটেম গানে সাদিয়ার অঙ্গভঙ্গীকে অশ্লীল বলে অনেকে এর সমালোচনা করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের চোখে এবং ক্যামেরায় তা দৃশ্যবন্দী হলেও নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন এ অভিনেত্রী। সাদিয়ার যুক্তি, 'আমি কোন অশ্লিল দৃশ্যে অভিনয় করিনি। ডিরেক্টরের চাহিদা পূরণ করতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই করেছি।'
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পেতে যাচ্ছে অচেনা হৃদয়। সমালোচনার পাতা খুলে অপেক্ষা করছেন সমালোচকরা। দর্শকদেরও অপেক্ষা করতে হবে সেই পর্যন্ত। সাদিয়া কতটুকু সাহসী হয়েছেন পর্দায় তা যাচাইয়ের জন্য এটুকু সময় তো ধর্য্য ধরতেই হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৫/ আহমেদ