ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। পাশাপাশি মডেলিং। সিনেমায় কাজ শুরু ২০১০ সালে। কিন্তু অভিনয়কে পেশা হিসেবে ঠিক মেনে নিতে পারছিলেন না তাপসি পান্নু। তারপর সেই অভিনয়েই আটকাতে হল তাকে! কথায় বলে- কপালের লেখা না যায় খণ্ডন।
নামটি অনেকের কাছে অপরিচিত হলেও মুখটি এখন আর অচেনা নয়। হিন্দি, তামিল, তেলেগু মিলিয়ে তার ক্যারিয়ারের ঝুলিতে সিনেমার সংখ্যা সতেরো। বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। তারপরও রূপালি জগতটাকে নিজের করে নিতে পারছিলেন না কিছুতেই। তাই ফিরে যাবার মনঃস্থির করেছিলেন। কিন্তু হলো কোখায়? নীরাজ পান্ডের সিনেমা বেবি তাকে আবার ফিরিয়ে এনেছে বলিউডের মেইনস্ট্রিমে। বেবি নিয়ে এখন সর্বত্র তোলপাড়। পাকিস্তান সে দেশে বেবি নিষিদ্ধ করেছে।
বলিউডে তাপসির প্রথম সিনেমা ২০১৩ সালে চশমে বাদ্দুর। সেখানে এক কলেজ গার্লের ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। তাপসির ভাষ্যে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চশমে বাদ্দুর সিনেমার পর থেকে পরপর কলেজ গার্লের ভূমিকাতেই বিভিন্ন পরিচালকের থেকে ডাক আসতে থাকে তার কাছে। একসময় তাপসির মনে হয় এ রকম করলে টাইপকাস্টেড হয়ে পড়বেন তিনি। তাই ছাড়ছিলেন একের পর এক ছবি। তখনই মনে হয়েছিল অভিনয় বোধহয় সত্যিই তার জন্য নয়।
তবে সত্যি অন্য কিছু লেখা ছিল তাপসির জন্য। নীরাজ পান্ডে বেবির জন্য ডাক দিলেন তাকে। কলেজ গার্লের টিপিক্যাল চরিত্রের বাইরে এই প্রথম তাপসির হাতে এলো নতুন কিছু। তার ওপর এই পরিচালকের হাত থেকেই এসেছে ওয়েনেসডে থেকে স্পেশাল ছাব্বিশ-এর মতো সিনেমা। তাই আর ঘুরে তাকাননি তাপসি। যখন অভিনয় ছেড়ে পড়াশোনাকে বেছে নেবেন ভাবছিলেন, তখন অভিনয় এসেই ডেকে নিয়ে গেল তাকে।
বলিউডে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বেবি সিনেমার সাফল্যে খুশি তাপসি। মুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যে সিনেমাটির কালেকশন প্রায় ৪৫ কোটি।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৫/আহমেদ