খাগড়াছড়ির চেঙ্গী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব মাঠে ধারণ করা হয়েছে এবারের 'ইত্যাদি'। শুটিং শেষে সম্পাদনার কাজও শেষ পর্বটির। আর এ পর্ব প্রচার হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি।
'ইত্যাদি'-তে সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এবারের পর্বেও রয়েছে তেমনি কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে শিক্ষানুরাগের এক জীবন্ত প্রতীক রিকশাচালক মো. জাকের হোসেনের ওপর একটি শিক্ষণীয় প্রতিবেদন। এ ছাড়াও প্রায় ৩০ বছর ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জায়গা যিনি সবুজ করে তুলেছেন চির সবুজ বকুল ফুলের গাছে আর সুরভিত করেছেন বকুল ফুলের সুগন্ধে, সেই ভূমিহীন দিনমজুর সিদ্দিক গাজীর ওপর রয়েছে একটি মানবিক প্রতিবেদন। একজন সরকারি কর্মচারী মাগুরার এবিএম নজরুল ইসলামের নিষ্ঠা এবং কর্মনিষ্ঠার ওপর রয়েছে একটি উদ্বুদ্ধকরণ প্রতিবেদন। যিনি তার দীর্ঘ কর্মজীবনে কোনো অজুহাতেই কখনো কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি। এ ছাড়াও পাহাড়ি কন্যা রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালির ওপর রয়েছে একটি চমৎকার তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন। এবারের ইত্যাদিতে বিভিন্ন জাতিসত্তার মধ্যে বন্ধন এবং আমাদের দেশের রূপ-বৈচিত্র্য বর্ণনা করে একটি দেশাত্দবোধক গান গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী এ্যান্ড্রু কিশোর। এ ছাড়াও এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে একটি ব্যতিক্রমী নাচ। যাতে অংশগ্রহণ করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন পাহাড়ি সম্প্রদায় এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পীরা। চাকমা-ত্রিপুরা-মারমা ও বাংলা ভাষায় গাওয়া একটি দেশের গানের সঙ্গে এই নাচটিতে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় তিন শতাধিক স্থানীয় নৃত্যশিল্পী।
নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানী-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ন নাট্যাংশ। বরাবরের মতো 'ইত্যাদি' রচনা, পরিচালনা এবং উপস্থাপনায় ছিলেন হানিফ সংকেত।