প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন, অনুভূতি কেমন?
একেবারেই অন্যরকম অনুভূতি। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক গাজী রাকায়েত স্যারের কাছ থেকে খবরটি প্রথম শুনি। শোনার পর থেকেই আসলে আমি অনুভূতিহীন, ভাষাহীন হয়ে পড়ি। রাকায়েত স্যার যতবারই আমাকে বলছিরেলন ততবারই আমি জিজ্ঞাসা করেছি সত্যিই পাচ্ছি আমি। আসলে আমার বলার ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমি পুরো মৃত্তিকা মায়া পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ আমি ইমপ্রেস পরিবারের কাছেও।
আপনার পরিবার কী আপনার কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়?
বিশেষত বলতে চাই আমার চাচা ড. হায়াৎ মামুদ'র কথা। মূলত ছোটবেলায় তার কাছ থেকেই শিখেছি শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে কথা বলা। তিনিই মূলত বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে প্রয়োগের বিষয়টি শিখিয়েছেন। ছোটবেলায় আমার বই পড়া শুরু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চাঁদের পাহাড়' দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই আমার চিন্তা ভাবনাটা ছিল একটু বড় লেখকদের বইয়ের প্রতিই। আর আমার মা হাসনা বেগম পাশে থেকে উৎসাহ না দিলে আজকের শর্মীমালা হয়ে উঠা হতোই না।
আপনার 'পালাকার' তো নিশ্চয়ই পাশে ছিল সবসময়?
তা তো অবশ্যই। অভিনয়ে আজ আমি যা কিছু শিখেছি সবই মূলত পালাকার থেকে। পালাকারের আমিনুর রহমান মুকুল ভাই আমাকে সবসময় একটা কথা বলতেন 'নিজেকে আগে অভিনয়ে গড়ে তোল, না হলে কিছুদিন পর খুঁজে পাওয়া যাবে না'। আমি তার কথা মেনে নিয়েছি, মনেও নিয়েছি।
ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল আপনার?
হ্যাঁ, ছোটবেলায় আসলে খেলাধুলার প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে 'প্রাচ্যনাট'-তে যখন অভিনয়ে স্কুলিংয়ের জন্য ভর্তি হলাম তখন আজাদ আবুল কালাম স্যারকে দেখে অভিনয়ে অনুপ্রাণিত হলাম। আমি দেখলাম যে আসলে এটাই আমার জায়গা। তাই পরবর্তীতে এক মাস পর একই বছরে 'পালাকার'-এ ভর্তি হলাম। সেই থেকে পালাকারের সঙ্গেই আছি।
টিভি নাটকে আপনার ব্যস্ততা কেমন?
কিছুদিন আগে মাছরাঙ্গা টিভিতে প্রচার শেষ হয়েছে বদরুল আনাম সৌদের ধারাবাহিক নাটক 'পিঞ্জর'। বর্তমানে আফসানা মিমির 'সাতটি তারার তিমির' এবং গোলাম সোহরাব দোদুলের 'হল্লাবাজি' ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি।
'হেঁশেন' টা কী?
'হেঁশেন' আমি এবং আমার বান্ধবী জয়িতা মহলানবীশ'র একটি খাবারের দোকান। দোকানটির যাত্রা শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে।
* শোবিজ প্রতিবেদক