হঠাৎ কৌতুক বিষয়ক রিয়ালিটির অনুষ্ঠানের বিচারক কেন হলেন?
আমিও ভেবেছিলাম, কৌতুক বিষয়ক অনুষ্ঠানের বিচারক আমি কেন! আয়োজকদের কাছেও জানতে চেয়েছিলাম। তারা আমাকে বলল, এমন একটি অনুষ্ঠানে নাকি আমার মতো একজন মানুষের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে আমি কৌতুক বলতে পারি না। কিন্তু আমি প্রাণ ভরে হাসতে জানি। ব্যাপারটা ভালোই হলো, সবাই হাসাবে আমি হাসব। আর যে বেশি হাসাতে পারবে সে বেশি নম্বর পাবে। ব্যস হয়ে গেল।
যুক্ত হলেন কীভাবে?
বেশ কয়েক মাস আগে আমাকে যখন প্রস্তাব দেওয়া হয় অনুষ্ঠানটির বিচারক হওয়ার জন্য, তখন বেশ অবাক হয়েছিলাম। পরে আরও দুই বিচারক মাজহারুল ইসলাম ও এজাজুল ইসলাম এবং উপস্থাপক সাজু খাদেমের কথা শুনে সানন্দে রাজি হয়ে যাই। এখন মনে হচ্ছে ভালো সিদ্ধান্তই নিয়েছি। অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন 'রাবার ব্যান্ড'। সবাই অনেক আনন্দ নিয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছি। আসলে যে বিষয় উপভোগ করা যায় না, সে কাজ করে লাভ নেই।
আপনি নিজেও একটি রিয়ালিটি শোয়ের মধ্য দিয়ে এসেছেন। আর এখন নিজে রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক। প্রতিযোগী থেকে বিচারক- পার্থক্য কেমন মনে করছেন?
আমি যখন বিচারকের আসনে বসি খুব স্মৃতি কাতর হয়ে পড়ি। খুব মনে পড়ে আগের কথা। দুরু দুরু বুকে এসে দাঁড়াতাম। আস্তে আস্তে শক্ত হলাম। কিন্তু ভয় সবসময়ই থাকত। মনে হতো- পারব তো!
আমি এসেছি সুন্দরী প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, আর এটি কৌতুক বিষয়ক শো। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া, বাছাই, বাতিল প্রক্রিয়া অনেকটা একই। সব মিলিয়ে অসাধারণ অভিজ্ঞতা! অনেক দিন পর প্রাণ খুলে হাসছি। শিক্ষার্থী থাকার সময় বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা নানাবাড়িতে গিয়ে যেভাবে হাসতাম এবং মজা করতাম, এখন সেই মজাটা করতে পারছি। আসলে আমরা যে পরিমাণ কাজের চাপে থাকি, সেটা থেকে বহুদিন পরে মুক্তি মিলেছে যেন। বলা যায় 'হা-শো'র তৃতীয় সিজন যতদিন চলছে, ততদিন আমি আনন্দেই থাকব। বোর হব না একটুও।
প্রতিযোগীরা কেমন করছে?
আমি আসলে কৌতুক বলতে পারি না। তারা যেটাই বলছে আমার ভালো লাগছে। তবে সবাই অনেক ভালো। দারুণ সব কৌতুক বলে মাতিয়ে রাখে। একটা বিষয় ভালো লাগছে প্রতিযোগিতায় থাকা কয়েকজন মেয়ে দুর্দান্ত করছে। আসলে মাত্র তো শুরু হলো, দিন যত যাবে প্রতিযোগীরা আরও ম্যাচিউড হবে। পারফরমেন্স আরও ভালো হবে। তখন অনুষ্ঠানও আরও জমজমাট হবে।
আপনার অভিনয়ের কথা বলেন।
রোজার ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক প্রচার হয়েছে। এবার ঈদেও কিছু কাজের কথা চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। তার মধ্যে রয়েছে- আরিফ খানের 'দল ছুট প্রজাপতি' , শাকাওয়াত মানিকের 'মেঘে ডাকা শহর'সহ আরও কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি।
কিন্তু আপনি বোধহয় অভিনয়ে একটু অনিয়মিত।
অনিয়মিত না, নিয়মিতই কাজ করছি। কিন্তু বেছে বেছে কাজ করি। আর আমার আরও কিছু ব্যস্ততা আছে। সবমিলিয়ে শিডিউল হয়।
আপনি চলচ্চিত্রে কাজ করছেন না কেন?
আমার মনে হয়, লাক্স থেকে বের হওয়ার পর ছবির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব আমি পেয়েছি। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার জন্য আমি সেই সময় ছবিতে কাজ করতে পারিনি। কিন্তু সব সময়ই ইচ্ছে ছিল ভালো ছবিতে কাজ করার। এখনো ইচ্ছে আছে ভালো গল্পে, ভালো চরিত্রে ছবিতে অভিনয় করার।
আপনার মেয়েকে কি অভিনেত্রী বানাবেন?
আমার তেমন কোনো ইচ্ছে নেই। আমি চাই আমার মেয়ে পড়াশোনা করে ভালো একজন মানুষ হোক। তারপর সে যেটা হতে চায় সেটাই হবে। আমার নিজেরও ডাক্তার কিংবা অভিনেত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না। আমি ছোট বেলা থেকেই ভাবতাম বড় হয়ে বাবার মতো ইঞ্জিনিয়ার হব।
আলী আফতাব