ফিল্মপাড়ায় অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা খুব দ্রুত আলোচনায় আসেন আবার দ্রুতই পরিধির বাইরে চলে যান। আবার এমনো দেখা যায় যত দ্রুত আলোচনায় আসেন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেগে ভক্তকুলের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন অবস্থা বিরাজ করছে হালের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির ক্ষেত্রে। ছবি মুক্তির আগেই দুই ডজন ছবির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আদৌ কি তার ছবি মুক্তি পাবে? নাকি ফেসবুক ও পত্রিকার পাতায় সীমাবদ্ধ থাকবে তার খবর। কিন্তু সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে গত বছর সর্বাধিক ছবির নায়িকা হিসেবে নিজেকে জাহির করেছেন ঢালিউডে।
শুধু তাই নয়, তার বেশ কয়েকটি ছবি সেন্সর বোর্ড পাড়ি দিয়ে মুক্তির প্রহর গুনছে। অন্যদিকে চলছে আরও কয়েক ছবির শুটিং। কিন্তু নতুন বছরে পুরনো সেই পরীকে আর দেখা যাবে না বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। এবার খেলতে চান দ্বিতীয় ইনিংস। অতীতের ভুল-ত্রুটি শুধরে দর্শকদের চাহিদা মাফিক অভিনয়ে মনোনীবেশ করতে চলেছেন পরী। এ ধারাবাহিকতায় আজ জিন্দাপার্কে শুরু হয়েছে ওয়াকিল আহমেদের ‘কত স্বপ্ন কত আশা’ ছবির শুটিং। এর মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। পুনর্জন্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরীমণি বলেন, প্রথম দিকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ‘অ’ও জানতাম না। সবই শিখেছি ফিল্মপাড়ায় এসে। কেউ ছিল না সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার। এ সুযোগে মিসগাইডও করেছে। মিসগাইড বলতে বুঝাতে চাচ্ছি সঠিক দিকনির্দেশনা। কোন চরিত্রটি কোন দৃশ্যটি কিভাবে আমার জন্য সফলতা বয়ে আনবে তা পরামর্শ দেওয়ার লোক খুব একটা পাইনি। ধীরে ধীরে এই চিত্র পাল্টেছে। অনেকেই সঠিক গাইড লাইন দিচ্ছেন। ভক্তরাও দিচ্ছেন নানা পরামর্শ।
পরীমণি আরও বলেন, গত বছরে ছয়টি ছবিতে ছয় ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এতে করে বুঝতে পেরেছি দর্শকরা কোন ক্যাটাগরিতে পছন্দ করে। ইচ্ছে করেই সময়টা একটু বেশি নিয়েছি। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা। বলতে পারেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে যাচ্ছি। আজ ওয়াকিল ভাইয়ের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে শূন্য থেকে শুরু হচ্ছে আমার ক্যারিয়ার। আশা করি দর্শকরা আমার এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাবে।