৯ এপ্রিল, ২০২০ ২২:১৬

করোনা সংকটে দুবাইয়ে ২৮ প্রবাসীর পাশে দাঁড়ালেন সুজানা

অনলাইন প্রতিবেদক

করোনা সংকটে দুবাইয়ে ২৮ প্রবাসীর পাশে দাঁড়ালেন সুজানা

সুজানা জাফর

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফর। অভিনয়ের বাইরে সুজানার আরেকটি জগৎ আছে। যেখানে নেই ক্যামেরার ঝলকানি কিংবা লাইট। আছে শুধু মানবতা। সেই মানবতার ডাকেই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভালোবাসেন। সমাজ সচেতনতায় ও অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় এতিম-অসয়হায়দের কাছে ছুটে যান। তিনি কাজ করেন অটিস্টিক শিশু ও সমাজের দুস্থদের জন্যও। এবার মহামারী করোনাভাইরাসে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো লকডাউনে থাকা দুবাইতে ২৮ প্রবাসীর পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

জানা গেছে, করোনা সংকটে দুবাইতে লকডাউনে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশিকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডেইরা দুবাই, সাবকা রোডে বসবাসরত ১৩ প্রবাসীদের কাছে কমপক্ষে ১৫ দিনের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে কী কী দিয়েছেন সেগুলো গোপন রাখতে চাইলেন বর্তমানে দুইবাতে থাকা সুজানা। তিনি বলেন, মানুষের পাশে থাকছি এটাই বড় কথা। তারা ভালো থাকলে আমি খুশি। আল্লাহ চেয়েছে বলে পেরেছি। আমি উছিলা মাত্র।

সুজানা আরও জানান, আসলে এই দুবাইতে থেকে এমনভাবে মানুষের জন্য কিছু করতে পারবো ভাবিনি। দেশে আমার নির্দেশনায় আমার ম্যানেজার কাজ করছে। কিন্তু দুবাইয়ে এরকম অবস্থা হবে কখনো চিন্তাও করিনি। আমি প্রথমে ফেসবুক মেসেজ দেখে মনে করছি আমার সাথে কেউ মজা করার চেষ্টা করছে। পরে আমাকে পাসপোর্টের পাতার ছবি তুলে পাঠালো। এরপর আমি চেষ্টা করলাম ওদের খাদ্য পাঠাতে। ওরা যেসব এলাকায় রয়েছে সেসব এলাকায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো একটু কঠিন ছিল।

দুবাইতে থাকা ওই প্রবাসীরা গণমাধ্যমকে জানান, তাদের বাড়ি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা। এদেরই একজন জানিয়েছেন- আমরা সুজানা ম্যাডামের ভক্ত। তাকে ফেসবুকে ফলো করতাম। আমরা যখন বিপদে পড়েছি তখন সুজানা ম্যাডামকে ফেসবুকে মেসেজ দিয়েছি। তিনি আমাদের বিস্তারিত জানতে চান, তাকে আমরা সাথে সাথে পাসপোর্টের ছবি তুলে পাঠাই। কারণ আমরা ক্ষুধার্ত, আমাদের যেকোনো ভাবে খাদ্য লাগবে। ম্যাডাম বিশ্বাস করলেন এবং এগিয়ে আসলেন।

উল্লেখ্য, অভিনয়ে নিয়মিত নন সুজানা। বছর তিনেক হলো ফ্যাশন হাউজ ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি ঢাকা টু দুবাই আসা যাওয়ার মধ্যে থাকেন। যেখানেই থাকেন না কেন উত্তরার অটিস্টিকদের একটি আশ্রম নিজের সাধ্যের মধ্যে দেখভাল করেন তিনি। সময় করে ছুটে যান সেখানে। সময় কাটান। এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত স্কুলের খরচ, শিক্ষার্থীদের পেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন পাশে থাকার। মানুষের বিপদে সর্বাত্মক পাশে থাকার চেষ্টা করলেও কখনোই এসব নিয়ে প্রচারমুখী নন সুজানা।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর