অনেক সময় পরিকল্পনা করে কাজ করা যায় না বা হয়ে ওঠে না। তখন কাজ করতে গিয়ে দিকবিদিক বেসামাল হয়ে যায়। নানারকম হয়রানি, কোন মতে কাজ হয়, কিন্তু মনের মতো কাজ হয় না। কিংবা মনের মতো না হলেও একটু প্রশান্তির কাজটুকু হয় না!
অস্থিরতার ছাপ রয়ে যায়, যা একটা সময় অসহ্য লাগে! মনে হয়, কি হতো যদি একটু ভাবতাম! যতটুকু না হলেই নয় সে ব্যবস্থা অথবা পরিস্থিতি আয়ত্বে না থাকলে বারবার খুচরা কাজ বিফলে যায়! আপতত: বিষয়টাই আসলে বিফল একটা বিষয়!
জীবন আসলে গোছাবার গাছ। ডালপালাগুলো এলোমেলো থাকলে, পরিবেশ দূষিত হয়। মন থেকে গোছানো মানুষের জন্য বড় বিরক্তিকর আবহাওয়া তা সামলে নেয়া। একার উপর এসে পড়ে দায়ভার! কাজটা করার আগে অনেক ভাবা দরকার, কোথায় কোনটা প্রয়োজন, কোনটা বাদ দিলে চলবে, কোনটা অতি প্রয়োজন, সবটাই খাতায় লেখা দরকার! অতীত তাই বলে, হিসাবের করিডোর ভীষণ বড় হিসাবী, তাই আপাতত: বিষয়টাকে প্রশ্রয় না দেয়াই সবার জন্যই মঙ্গলজনক।
যে কোন কাজের শেষটা আগে ভাবাটাই কখনো কখনো যুক্তিযুক্ত। যা হালকা কাজ তা নিয়ে ততটা না ভাবলেও চলে। যা গ্যাছে তা তো গ্যাছে.. বাকি সময়ে একটু অস্থিরতা কমাতে হবে। ধৈর্য্য ধরে কাজের পরিকল্পনা নির্ধারণ করে আগাতে হবে। নাহলে ঝামেলা পিছু ছাড়লেও নিজের সাথে বোঝাপড়ার ঝামেলাটা প্রকট হবে। যা সহনীয় নাও হতে পারে। সৃস্টিশীল মানুষের জন্য তো আরও বিপদ... তবে আশা ছাড়া যাবে না...অগোছালো কে সাজানোই মানুষের শ্রেষ্ঠ কাজ..!
এখন তুমি কি চাও? বেছে নেয়া তোমার দায়িত্ব। নতুন বছরে একটু ভেবে চিন্তাই কাজ করি, তাতে নিজেরও ভাল থাকার পাশাপাশি সবাইকেও ভাল রাখাও সম্ভব ঠিক না...?
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/৬ জানুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা