মূল বিজয় এসেছিলো ৫ই জানুয়ারি নয়, ৬ই জানুয়ারি, ২০১৪ সালের এই দিনে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়ে, তথাকথিত ভোটের অধিকারের আন্দোলনের নামে মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টাই আসল উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি-জামাতের।
বিএনপি-জামাতের সহিংসতার জবাব জনগণ দিয়েছিল ২০১৪ সালের ৬ই জানুয়ারি। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের দিন আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ঠিক পরের দিন, ৬ই জানুয়ারি বিএনপি-জামাতের অবরোধের ডাক থাকা সত্বেও মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলো। ঢাকা শহরে যানজট লেগে গিয়েছিলো। বিএনপি-জামাতের বোমাতঙ্ক মানুষকে আর ঘরে বন্দী করে রাখতে পারেনি।
আতঙ্ক জয় করে ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে আসার মধ্য দিয়ে মানুষ স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী এবং পেট্রোল বোমা জঙ্গী সন্ত্রাসীদের ‘না’ বলেছিলো।
এজন্য আমি মনে করি, ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে বিজয় হলেও, মূল বিজয় এসেছিলো ৬ই জানুয়ারি, ২০১৪। এ বিজয় ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী-অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিপক্ষে গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং জয় বাংলার বিজয়।
লেখক : কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/৭ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা