আত্মমর্যাদা নিয়ে প্রতিবাদের বদলে নারীদের কেউ কেউ যেন খুশি ও বিগলিত হয়েছেন! আমার মেয়ে চন্দ্রস্মিতার দুই বছর বয়সে জন্মদিন করেছিলাম সুনামগঞ্জের বাড়িতে। উৎসব বলে যাকে। সেদিনও তাকে দেয়া শাড়ি পড়েছিলো কোলের শিশুটি। প্রতি নববর্ষে তাকে নিয়মিত শাড়ি দেই। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তাঁতের শাড়িকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করেছিলেন। শাড়িতে তার ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল হয়ে আসতো। সম্মান কুড়িয়েছেন।
আবহমান কাল জুড়ে বাঙালি নারীর প্রিয় সুন্দর সম্মান ও ব্যক্তিত্বের পোশাক হলো শাড়ি। শাড়ি আমার মা পড়েছেন। শাড়ি আমার পূর্বসূরীরা পড়েছেন। শাড়ি আমার বোনরা পড়েন। শাড়ি আমাদের শিশুকন্যারাও পড়ে। শাড়িতে নারী আমার কাছে অনেক বেশী সম্মান ও শ্রদ্ধার। তবু পোশাক যার যার স্বাধীনতা।
অধ্যাপক আবদুল্লা আবু সায়ীদ শাড়ি নিয়ে চমৎকার লেখাটিতে কিছু কিছু মন্তব্যে যৌন সুরসুরিতে নারীর দেহের বর্ণনায় পণ্যের শামিল করেছেন। তার জীবনের পড়ন্ত বেলায় ভিতরে বাস করা যৌনবিকৃত পুরুষের চেহারাই উন্মোচন করেছেন। আত্মমর্যাদা নিয়ে নারীরা এর প্রতিবাদটাও করতে পারেননি! কেউ কেউ যেন খুশি বিগলিত হয়েছেন। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর সায়ীদ তার মনের কালো দাগটাই দূর করতে পারেননি, তবু তার বই পড়ার আন্দোলন সফল হয়েছে। আশা করি তিনি তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন। ক্ষমা চাওয়া মহৎ মানুষের কাজ এটা তিনি অনেককেই শিখিয়েছেন।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম