বলছিলাম ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুর কথা।
যতটুকু শুনেছি তাদের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। দু'জনেই চাটগাঁইয়া। দু'জনেই জাতীয় পার্টির নেতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছাত্রইউনিয়ন করতেন। মেনন গ্রুপ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমদ ঘনিষ্ট বন্ধু।
ষাটের দশকের চীনাপন্থী ছাত্রইউনিয়ন ও সকল চীনাপন্থী কমিউনিস্ট নেতারা পচাত্তরের পরে জিয়ার সরকারে যোগ দেয়। খাল কাটা দিয়া শুরু। অনেকেই টিকতে না পেরে বেরিয়েও যায়।
আনিস সাহেব সম্ভবত তখন লন্ডনে। বয়সও কম। আবার সুযোগ চলে আসে ৮৩ সালে। আগেকার বিশাল অংশ যোগ দিল এরশাদের দলে। আনিস সাহেবও। মন্ত্রীও হলেন। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
ছাত্রলীগের কর্মী থেকে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা বাবলু ডাকসুর জিএস হলেন বাসদের হয়ে। ছাত্রনেতা থেকে সামরিক সরকারের উপমন্ত্রী হয়ে গেলেন।
আনিস ও বাবলু, দুজনের সম্পর্কের রসায়নটা তখন থেকেই ক্রীয়াশীল। জাতীয় পার্টির নানান ভাঙনকালে দুজনেই এরশাদ গড়ানার ছিলেন ২০১৩ পর্যন্ত। তেরোর শেষদিকে দুজন যোগ দিলেন রওশন এরশাদের গ্রুপে।
আনিস যেখানে বাবলু অনিবার্যভাবেই সেখানে। আনিস সাহেব রাজনীতির পাশাপাশি বড় ব্যবসায়ীও। বাবলু সাহেব শুধুই রাজনীতি করেন বলেই জানি। সকাল থেকে রাত অবধি আনিস সাহেবের সঙ্গেই কাটাতেন বাবলু।
মাঝে বিপত্নীক হলেন বাবলু। বিয়ে করবেন না করবেন না করতে করতে এরশাদের ভাগ্নীকে বিয়ে করলেন।
এরশাদ মারা গেলেন। এবার খেলা অন্যরকম হয়ে গেল। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ গেলেন রওশন এরশাদের গ্রুপে। জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু গেলেন জি এম কাদেরের গ্রুপে।
বাবলুর দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ।
আনিস-বাবলু জুটির পতন!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/হিমেল