শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৪৫, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০

করোনার চিকিৎসা বিষয়ক প্রচলিত ভ্রান্তিসমূহ

শামীম আহমেদ
অনলাইন ভার্সন
করোনার চিকিৎসা বিষয়ক প্রচলিত ভ্রান্তিসমূহ

বাংলাদেশ যেহেতু মাত্রই করোনা মহামারীর চূড়ান্ত চিত্রে প্রবেশ করল, করোনা সংক্রান্ত কিছু ধারণা নিয়ে আলাপ করা দরকার বলে মনে করছি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত আজকের লেখাটি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় ভীষণভাবে জরুরী।

১) ভেন্টিলেটর কিংবা আইসিইউ বেড না থাকলে শুধু শুধু হাসপাতালে গিয়ে কী হবে?
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে, বাংলাদেশে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা মাত্র ১১২ টির মতো। আইসিইউ বেডও খুব বেশি নয়। করোনাভাইরাস জটিল আকার ধারণ করলে মানুষকে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটর দিয়ে কৃত্রিমভাবে নানা সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এখন যে দেশে ভেন্টিলেটর এত কম সে দেশে ডাক্তাররা হাসপাতালে নিলে কি আর করোনা রোগীদের কোন সাহায্য করতে পারবে?

আসলে পারবে। এই ব্যাপারটিই জেনেছি নানা চিকিৎসক বন্ধু যারা সরাসরি দেশ-বিদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন, তাদের সাথে কথা বলে। এক চিকিৎসক বন্ধু অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, তিনি দেখেছেন নিজে হেঁটে হাসপাতালে আসা এক রোগী যখন ইমার্জেন্সিতে, তখন তার শরীরে অক্সিজেন কনজাম্পসানের মাত্রা ৯৯% ছিল। অথচ মাত্র ৫ মিনিট পরেই সেটি কমে ৭০ ভাগের নিচে চলে যায়। এই রোগীকে পরবর্তীতে ভেন্টিলেটর ছাড়াই হাইপ্রেসার অক্সিজেন সরবরাহ এবং নিয়মিত চেক-আপ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে সুস্থ করা গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শতকরা ৮০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই ভেন্টিলেটর বা আইসিউ বেডের দরকার হয় না। নিয়মিত চিকিৎসা, ওষুধ সরবরাহ ও হাইপ্রেসার অক্সিজেন দিয়ে তাদের সুস্থ করা যায়। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইসিইউতে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেয়া রোগীদের ৬৫ শতাংশই মারা গেছেন, সেখানে আইসিইউর বাইরে সাধারণ বেডে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগ রোগীদের হাইপ্রেসার অক্সিজেন ও অন্যান্য সাপোর্ট দিয়ে সুস্থ করা গেছে।

তার মানে আইসিইউ না থাকলে বা ভেন্টিলেশন না থাকলেই যে হাসপাতাল আর ডাক্তারদের কোন কাজ নেই, বা রোগীদেরও আর কোন সাপোর্ট পাওয়ার সুযোগ নেই, ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে নিঃসন্দেহে ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থেকে সুস্থ থাকতে পারাটাই এই সময়ে সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি। উল্লেখ্য করা জরুরী যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করার জন্য ডাক্তাররা হাসপাতালে অনেক কিছু করেন। ফুসফুস, শ্বাসযন্ত্র, কিডনিসহ নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গকে সুস্থ ও কার্যকরী রাখতে যেসব কাজ করা লাগে সেগুলো সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি বুঝিনি, তাই এখানে লিখিওনি। কিন্তু যে তথ্যগুলো জানা জরুরী তা হচ্ছে :

- ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থেকে আক্রান্ত না হওয়াটাই সেরা সিদ্ধান্ত
- করোনাতে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগী শুধু মাত্র ২ সপ্তাহ বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হয়ে যাবেন। এই ৮০ শতাংশের অনেকে জানবেনও না যে তাদের করোনা হয়েছিল।
- বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে আশি শতাংশ যদি হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সের নিয়মিত সেবা পান, ওষুধ ও হাই ফ্লো অক্সিজেন পান, তাহলে সুস্থ হয়ে যাবেন।
- বাকি দুর্ভাগা যে অল্প কিছু রোগী থাকবেন (বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে সেই অল্প রোগীর সংখ্যাও লক্ষাধিক হয়ে যেত পারে), তাদের ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ বেড অবশ্যই লাগবে। এবং আইসিইউ বেড ও ভেন্টিলেটর পাওয়ার পরও তাদের ন্যূনতম ৬৫ ভাগকেই হয়ত বাঁচানো যাবে না।
(যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আইসিইউতে রাখলেও কিন্তু ভেন্টিলেটর দেয়া লাগেনি, হাই ফ্লো অক্সিজেন ও অন্যান্য সেবা দিয়েই তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়েছেন।)

২) অহেতুক কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেসন কিংবা লকডাউন জারি রেখে অর্থনীতির বারোটা বাজানো কি ঠিক হচ্ছে?
জি ভাই। কোয়ারেন্টাইন কিংবা আইসোলেসন কিংবা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। খুব পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন করোনাভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই। ভ্যাকসিন নাই, ওষুধ নাই, কিছুই নাই। যে হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো কোনটিই করোনার জন্য নতুন আবিষ্কার হওয়া কোন ব্যবস্থা নয়। এগুলো গত অর্ধ শতাব্দী ধরে সামাজিক ও আচরণগত বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনেক ছোঁয়াচে রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

কেউ প্রকাশ্যে বলছেন, কেউ বলছেন না। কিন্তু কোন দেশই মনে করে না যে খুব সহসাই করোনার ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কার হয়ে যাবে। পরীক্ষামূলক যেসব ওষুধের কথা আমরা শুনছি সেগুলো মূলত করোনার নানা উপসর্গ কমিয়ে নিয়ে আসার জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশই বিশ্বাস করে, করোনা দূর হবার জন্য মূলত পৃথিবীর ৮০ শতাংশ মানুষকে একবার হলেও করোনা আক্রান্ত হতে হবে। একবার করোনা হয়ে গেলে, তার করোনা প্রতিরোধ করার সক্ষমতা অর্জন করার কথা, ফলশ্রুতিতে সেটাই হবে করোনাভাইরাস ঠেকানোর মূল অস্ত্র।

তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, সবাইকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দিলেই তো অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সবাই আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থও হয়ে যেতে পারে, তাহলে ল্যাঠা চুকে যায়। এত কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন ইত্যাদি করে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করার দরকারটা কী? দরকার আছে। কারণ করোনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষরাই মূলত বেশি আক্রান্ত হন, মৃত্যুর হারও প্রায় ৯৫ শতাংশই তাদের মধ্যে। এর নিচে অল্প কিছু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার খুবই কম। এখন দেশগুলো যদি কোন ব্যবস্থা না হয়, তাহলে একবারে সবাই অসুস্থ হলে লাখ লাখ বয়স্ক মানুষের আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে, হাসপাতালে সাধারণ বেড লাগবে, অক্সিজেন লাগবে, ওষুধ লাগবে, ডাক্তার লাগবে – যেটা পৃথিবীর কোন দেশেরই নেই। 

কিন্তু কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেসন ও লকডাউনের মাধ্যমে যদি এই আক্রান্ত হবার প্রক্রিয়াটাকে ন্যূনতম ৬ মাসে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে সব দেশই তাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে কিছুটা হলেও চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে, নাহলে শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে। তার মানে হচ্ছে এই বিদ্যমান পদ্ধতি করোনাকে প্রতিরোধ করার জন্য নয়, বরঞ্চ করোনাকে ধীরে ধীরে সামলানোর একটি বিশেষ সামাজিক ও আচরণগত রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি। তাই আমাদের অবশ্যই আরও দীর্ঘদিন সব ধরণের সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

৩) মানুষজন মসজিদে গেল, গার্মেন্টস কারখানায় আসল, কারওয়ান বাজারে গেল– তাইলে আর এখন লকডাউন জারি রেখে কোন লাভ আছে?
আছে ভাই আছে। আপনি যদি ১৭ কোটি মানুষকেই টানা ১৪ থেকে ২১ দিন বাসায় আটকে রাখতে পারতেন, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত আপনি করোনাকে প্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। তাও পুরোপুরি পারতেন না, সীমান্তে আনাগোনা থাকে, পণ্যের চলাচল হয়। কিন্তু এই যে সাম্প্রতিক হাজার হাজার মানুষ বাজারে যাচ্ছে, মসজিদে যাচ্ছে, গার্মেন্টসে আসছে, তাতে করে অবশ্যই লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়েছে, কিন্তু তবু যতটা লকডাউন সম্ভব হচ্ছে, তাতেও কাজ কম হচ্ছে না।

যেমন ধরুন, আমার বাবা-মা গত ২০ দিন ধরে পুরোপুরি বাসায়। তারা কোথাও যান না, কাউকে বাসায় আসতে দেন না, বুয়া আসেন না, আমার বোন যায় না, পত্রিকা নেয়া বন্ধ (পত্রিকার মাধ্যমে অবশ্যই করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। আপনার হকার যদি পত্রিকায় বিরাট একটা হাঁচি দিয়ে আপনার দরজার নিচে দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়, তবে অবশ্যই আপনার করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়)। অন্য সময় হলে আমার বাবা মসজিদে যেতেন, সা পাশের রোডে খালার বাসায় যেতেন। আমার কেয়ারটেকার, বুয়া বাসায় আসত। এদের কারো মাধ্যমে করোনা আমার বাবা-মাকে আক্রান্ত করলে, তারা সেটি আবার আমার খালা, বোন, বুয়া, কেয়ারটেকার, মসজিদের মুসুল্লি, ড্রাইভার এবং তাদের মাধ্যমে তাদের পাড়া-প্রতিবেশীসহ আরও হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারত।

লাখ লাখ মানুষ যেমন নিষেধাজ্ঞা মানছেন না, তেমনই কোটি মানুষ নিষেধাজ্ঞা মানছেন। তাই যতদিন সম্ভব লকডাউন বজায় রাখতে হবে। লকডাউন উঠে গেলে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যতদিন পারা যায়। প্রতিটা মানুষের এই আত্মত্যাগ আরও হাজারটা মানুষকে এক ধাক্কায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে। এভাবে একবারে কম কম করে আক্রান্ত হলে; হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের পক্ষেও ভালো সেবা দেয়া সম্ভব হতে পারে।

৪) আমার (জনৈক তরুণ, আমি না) বয়স তো ৩৯ বছর। আমার তো করোনা হবে না। হইলেও মরব না। তাহলে আমি একটু টুইংকেলের সাথে দেখা করে আসি ভাই?
নাহ সরি। ঝিম মাইরা ঘরে বসে থাকেন ভাই। একথা সত্য যে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ৬০ বছরের নীচে মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম, মৃত্যু তো আরও কম। তাই অল্প বয়সী মানুষদের মৃত্যুর ঝুঁকি নগণ্য। কিন্তু অল্প বয়সী মানুষ নিজেরা কম ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তারা বেশি বয়স্ক মানুষের জন্য বিরাট ঝুঁকি। তারা বয়স্ক মানুষদের আক্রান্ত করে মৃত্যুর মুখে ফেলতে পারেন।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর অনেক হিসাব নিকাশই যেন বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে মিলছে না। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের বয়সের ব্যাপ্তি খুব অদ্ভুত ভাবে প্রায় সব বয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একইভাবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অনেক তরুণ বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন।

বাংলাদেশি চিকিৎসক বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানা গেল, উন্নত দেশে ৬০ বছর বয়স্ক মানুষের শারীরিক গঠন ও ঝুঁকি যেই মাত্রায়, বাংলাদেশিদের মধ্যে সেই একই ঝুঁকি অনেক সময়ে ৫০ বছরে এমনকি তার কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। সুতরাং, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ৬০ বছরের মানুষদের যে ঝুঁকি বাংলাদেশিদের হয়ত ৪০ বছরের পরেই সেই ঝুঁকি, যেমন ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, উচ্চরক্তচাপ, ফুসফুস বা কিডনির প্রদাহ প্রকট হয়ে দেখা দেয়। সুতরাং আপনি যদি ৬০ বছরের কম বয়সী বাংলাদেশিও হন, আপনার কপাল খারাপ। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকেন।

৫) বাইরে তো চরম গরম। রোদে মাথার তালু পুড়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রায় তো করোনা মরে ভূত। তাইলে ঘুরতে যাই নাকি?
সরি ভাই। এই বিষয়েও এখনও কোন নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। তাপমাত্রার একটা প্রভাব করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যে ভূমিকা রাখতে পারে, এই ব্যাপারে বহু বিজ্ঞানী আশাবাদী হলেও, শক্তিশালী কোন তথ্য প্রমাণ এখনও পান নাই। মার্চের শুরু পর্যন্ত কিছু গবেষণায় আশাবাদী তথ্য পাওয়া গেলেও, তখন পর্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় আমি উচ্চ তাপমাত্রায় করোনা থাকবে না, এই ব্যাপারে খুব আশাবাদী হচ্ছি না।

একটা ব্যাপার মোটামুটি নিশ্চিত যে ড্রপ্লেটের (হাঁচি, কাশি, কথা বলার সময়ে ছড়ানো হালকা জলকণা) মাধ্যমে করোনা ছড়ায়, সে
ড্রপলেট কড়া রোদে দ্রুত শুকিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ড্রপলেট শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে করোনার টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু রৌদের বাইরেও ঘরের ভেতর নানা উপকরণের উপর ভিত্তি করে করোনা হরহামেশাই ছড়ায়, তাই শুধু তাপমাত্রার উপর ভরসা করে হাত-পা ছড়িয়ে বসে থাকলে চলবে না।

৬) একবার করোনা হলে বললেন যে আর হয় না, কিন্তু অমুক পত্রিকায় পড়লাম তমুক আপার নাকি আবার হইছে?
ভাই এটা নিয়েও নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত আশাবাদী যে একবার যার করোনা হবে তার দ্বিতীয়বার হবে না। কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে কারও কারও নাকি দ্বিতীয়বার করোনা হয়েছে, কিন্তু তারা কেউ মারা গেছেন, এমন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে যাদের দ্বিতীয়বার করোনা ধরা পড়েছে, তাদের প্রথমবারের টেস্টটা ঠিক মতো করা হয়েছিল কিনা এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান। ডাক্তাররা বলছেন, এমন হতে পারে প্রথমবার টেস্টে যদিও দেখা গেছে তাদের করোনা ছিল, আসলে তাদের হয়ত করোনা ছিলই না, ভুল টেস্ট রিপোর্ট এসেছিল। প্রতি ১০০ জনের টেস্টে এমন ৫ শতাংশ ফলস পজিটিভ (অর্থাৎ করোনা নাই, কিন্তু ধরা পড়েছে আছে) অথবা ফলস নেগেটিভ (অর্থাৎ করোনা আছে কিন্তু ধরা পড়ে নাই) হতে পারে। তারা ধারণা করছেন দ্বিতীয়বার করোনা ধরা পড়া কেসগুলো মূলত এমন।

ডাক্তাররা বলছেন করোনার ক্ষেত্রে আসলে প্রথম টেস্টের ৪৮ ঘণ্টা পর আবার টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া গেলে খুব ভালো হতো, কিন্তু মহামারীর বর্তমানে এমন অবস্থা, যাদের একবার দরকার, তাদেরই করা যাচ্ছে না। সুতরাং কারও দ্বিতীয়বার করার মতো অবস্থা নাই। সুতরাং আমরা এখন পর্যন্ত আশা করতে পারি, করোনা একবার হলে হয়ত আর নাও হতে পারে। এইক্ষেত্রে যদি আমরা ভুল হই, তাহলে কপালে খারাপই আছে। এই ভুল রেজাল্টের কারণেই বেশির ভাগ উন্নত দেশই র‌্যাপিড টেস্টে বিশ্বাস করে না। র‌্যাপিড টেস্টে ফলস নেগেটিভের হার ১৫ শতাংশেরও বেশি, যেটি মহামারীর ক্ষেত্রে আত্মঘাতী। তাই র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবহার সীমিত রাখা জরুরী।

অনেকগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আজকে। বেশ কিছু পড়ালেখা করেছি গত একসপ্তাহ ধরে এই জন্য। কথা বলেছি বেশ কজন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে। বিশেষ করে আমার যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডাক্তার বন্ধু সালমা হাসানের সাথে আলাপ করে অনেক চিন্তার উন্মেষ ঘটেছে। তবুও তথ্যে ঘাটতি থাকতে পারে। এটি একটি নতুন রোগ। শতবর্ষের প্রথম মহামারী। আমরাও শিখছি। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এই বিষয়গুলো আপনার পরিচিত সবার সাথে আলোচনা করুন। এগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামনের দিনগুলোতে করোনার সাথে অর্থনীতি, জনসংখ্যাসহ আরও কিছু বিষয়ের সংশ্লেষ নিয়ে আলাপ করার ইচ্ছা আছে। তার আগে প্রচুর পড়তে হবে। এখন সেই কাজটি করছি।

বাংলাদেশ এখন খুব দুর্যোগপূর্ণ অবস্থানে আছে। এখনই সময় সামাজিক সংযোগ ও আচরণে সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াবার (দূরত্ব বজায় রেখে)। খুব ভালো থাকবেন। পজিটিভ থাকবেন। নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকবেন।

লেখক : সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার হেলথ সায়েন্টিস্ট, ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টো

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বশেষ খবর
ঐকমত্য কমিশন যেন বিভাজনের কমিশন না হয়
ঐকমত্য কমিশন যেন বিভাজনের কমিশন না হয়

৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন
ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত
এসএসসি পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক নিহত

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইংরেজি মাধ্যমে না পড়ায় প্রেম ভাঙল তরুণের!
ইংরেজি মাধ্যমে না পড়ায় প্রেম ভাঙল তরুণের!

১৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

বহিষ্কৃতদের তালিকায় পিটুনিতে নিহত জাবি ছাত্রলীগ নেতাও
বহিষ্কৃতদের তালিকায় পিটুনিতে নিহত জাবি ছাত্রলীগ নেতাও

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

পুনেতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে টেনে নিয়ে গেছে চিতাবাঘ
পুনেতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে টেনে নিয়ে গেছে চিতাবাঘ

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিরোজপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে এক লাখ টাকা জরিমানা
পিরোজপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে এক লাখ টাকা জরিমানা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিটন, সম্পাদক আলম
তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি লিটন, সম্পাদক আলম

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যানজট এড়াতে মেট্রোতে চাপলেন দিল্লির কর্ণধার পার্থ জিন্দাল
যানজট এড়াতে মেট্রোতে চাপলেন দিল্লির কর্ণধার পার্থ জিন্দাল

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মগড়া নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণ, পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ
মগড়া নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণ, পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান উল্টে ২০ কিমি যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান উল্টে ২০ কিমি যানজট

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১ মিলিয়ন ফলোয়ার না হওয়ায় আত্নহত্যা ভারতীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের
১ মিলিয়ন ফলোয়ার না হওয়ায় আত্নহত্যা ভারতীয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের

৪৪ মিনিট আগে | শোবিজ

ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’
ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিরোজপুরে মৎস্যজীবীদের গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
পিরোজপুরে মৎস্যজীবীদের গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতীয় ভক্তদের ‘চমকপ্রদ উপহার’ পেলেন হানিয়া আমির
ভারতীয় ভক্তদের ‘চমকপ্রদ উপহার’ পেলেন হানিয়া আমির

৫৭ মিনিট আগে | শোবিজ

নারায়ণগঞ্জে ড্রেনে পড়ে ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ
নারায়ণগঞ্জে ড্রেনে পড়ে ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো 'মেট গালায়' বলিউড কিং
প্রথমবারের মতো 'মেট গালায়' বলিউড কিং

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পল্টনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সমাবেশ শুরু
পল্টনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সমাবেশ শুরু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে : শ্রম উপদেষ্টা
মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে : শ্রম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়
দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির
অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন
শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইপিএল থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো চেন্নাই
আইপিএল থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো চেন্নাই

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা
ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউটিউবে ব্যান্ড বে অব বেঙ্গলের 'পুতুল’
ইউটিউবে ব্যান্ড বে অব বেঙ্গলের 'পুতুল’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নয়াপল্টনে আজ সমাবেশ করবে শ্রমিক দল
নয়াপল্টনে আজ সমাবেশ করবে শ্রমিক দল

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল, শেষ এবারের আইপিএল
ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল, শেষ এবারের আইপিএল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট
হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবি রেজিস্ট্রারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
রাবি রেজিস্ট্রারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে মতামত না দেওয়ায় ইশরাকের গেজেট প্রকাশ ইসির
আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে মতামত না দেওয়ায় ইশরাকের গেজেট প্রকাশ ইসির

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ
যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হলোকাস্ট বোর্ড থেকে কমলা হ্যারিসের স্বামীকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
হলোকাস্ট বোর্ড থেকে কমলা হ্যারিসের স্বামীকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদানি চুক্তিতে ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক
আদানি চুক্তিতে ৪০ কোটি ডলারের ‘শুল্ক ফাঁকির’ অনুসন্ধানে দুদক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ
এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক

নগর জীবন

সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল
পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল

পেছনের পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

জঞ্জালের শহরে পরিণত হচ্ছে রাজশাহী
জঞ্জালের শহরে পরিণত হচ্ছে রাজশাহী

রকমারি নগর পরিক্রমা

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর

রকমারি নগর পরিক্রমা

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট
এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট

রকমারি নগর পরিক্রমা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

আদানির সঙ্গে চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি
আদানির সঙ্গে চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ থেকে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা
আজ থেকে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ মিয়ানমার একমত হলে করিডর
বাংলাদেশ মিয়ানমার একমত হলে করিডর

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

কলকাতার হোটেলে আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন