শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৪৫, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০

করোনার চিকিৎসা বিষয়ক প্রচলিত ভ্রান্তিসমূহ

শামীম আহমেদ
অনলাইন ভার্সন
করোনার চিকিৎসা বিষয়ক প্রচলিত ভ্রান্তিসমূহ

বাংলাদেশ যেহেতু মাত্রই করোনা মহামারীর চূড়ান্ত চিত্রে প্রবেশ করল, করোনা সংক্রান্ত কিছু ধারণা নিয়ে আলাপ করা দরকার বলে মনে করছি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত আজকের লেখাটি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় ভীষণভাবে জরুরী।

১) ভেন্টিলেটর কিংবা আইসিইউ বেড না থাকলে শুধু শুধু হাসপাতালে গিয়ে কী হবে?
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে, বাংলাদেশে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা মাত্র ১১২ টির মতো। আইসিইউ বেডও খুব বেশি নয়। করোনাভাইরাস জটিল আকার ধারণ করলে মানুষকে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটর দিয়ে কৃত্রিমভাবে নানা সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এখন যে দেশে ভেন্টিলেটর এত কম সে দেশে ডাক্তাররা হাসপাতালে নিলে কি আর করোনা রোগীদের কোন সাহায্য করতে পারবে?

আসলে পারবে। এই ব্যাপারটিই জেনেছি নানা চিকিৎসক বন্ধু যারা সরাসরি দেশ-বিদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিচ্ছেন, তাদের সাথে কথা বলে। এক চিকিৎসক বন্ধু অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, তিনি দেখেছেন নিজে হেঁটে হাসপাতালে আসা এক রোগী যখন ইমার্জেন্সিতে, তখন তার শরীরে অক্সিজেন কনজাম্পসানের মাত্রা ৯৯% ছিল। অথচ মাত্র ৫ মিনিট পরেই সেটি কমে ৭০ ভাগের নিচে চলে যায়। এই রোগীকে পরবর্তীতে ভেন্টিলেটর ছাড়াই হাইপ্রেসার অক্সিজেন সরবরাহ এবং নিয়মিত চেক-আপ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে সুস্থ করা গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শতকরা ৮০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই ভেন্টিলেটর বা আইসিউ বেডের দরকার হয় না। নিয়মিত চিকিৎসা, ওষুধ সরবরাহ ও হাইপ্রেসার অক্সিজেন দিয়ে তাদের সুস্থ করা যায়। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইসিইউতে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেয়া রোগীদের ৬৫ শতাংশই মারা গেছেন, সেখানে আইসিইউর বাইরে সাধারণ বেডে ভর্তি হওয়া বেশির ভাগ রোগীদের হাইপ্রেসার অক্সিজেন ও অন্যান্য সাপোর্ট দিয়ে সুস্থ করা গেছে।

তার মানে আইসিইউ না থাকলে বা ভেন্টিলেশন না থাকলেই যে হাসপাতাল আর ডাক্তারদের কোন কাজ নেই, বা রোগীদেরও আর কোন সাপোর্ট পাওয়ার সুযোগ নেই, ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে নিঃসন্দেহে ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থেকে সুস্থ থাকতে পারাটাই এই সময়ে সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি। উল্লেখ্য করা জরুরী যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করার জন্য ডাক্তাররা হাসপাতালে অনেক কিছু করেন। ফুসফুস, শ্বাসযন্ত্র, কিডনিসহ নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গকে সুস্থ ও কার্যকরী রাখতে যেসব কাজ করা লাগে সেগুলো সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি বুঝিনি, তাই এখানে লিখিওনি। কিন্তু যে তথ্যগুলো জানা জরুরী তা হচ্ছে :

- ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থেকে আক্রান্ত না হওয়াটাই সেরা সিদ্ধান্ত
- করোনাতে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগী শুধু মাত্র ২ সপ্তাহ বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হয়ে যাবেন। এই ৮০ শতাংশের অনেকে জানবেনও না যে তাদের করোনা হয়েছিল।
- বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে আশি শতাংশ যদি হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সের নিয়মিত সেবা পান, ওষুধ ও হাই ফ্লো অক্সিজেন পান, তাহলে সুস্থ হয়ে যাবেন।
- বাকি দুর্ভাগা যে অল্প কিছু রোগী থাকবেন (বাংলাদেশের জনসংখ্যার অনুপাতে সেই অল্প রোগীর সংখ্যাও লক্ষাধিক হয়ে যেত পারে), তাদের ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ বেড অবশ্যই লাগবে। এবং আইসিইউ বেড ও ভেন্টিলেটর পাওয়ার পরও তাদের ন্যূনতম ৬৫ ভাগকেই হয়ত বাঁচানো যাবে না।
(যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আইসিইউতে রাখলেও কিন্তু ভেন্টিলেটর দেয়া লাগেনি, হাই ফ্লো অক্সিজেন ও অন্যান্য সেবা দিয়েই তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়েছেন।)

২) অহেতুক কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেসন কিংবা লকডাউন জারি রেখে অর্থনীতির বারোটা বাজানো কি ঠিক হচ্ছে?
জি ভাই। কোয়ারেন্টাইন কিংবা আইসোলেসন কিংবা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। খুব পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন করোনাভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই। ভ্যাকসিন নাই, ওষুধ নাই, কিছুই নাই। যে হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো কোনটিই করোনার জন্য নতুন আবিষ্কার হওয়া কোন ব্যবস্থা নয়। এগুলো গত অর্ধ শতাব্দী ধরে সামাজিক ও আচরণগত বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনেক ছোঁয়াচে রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

কেউ প্রকাশ্যে বলছেন, কেউ বলছেন না। কিন্তু কোন দেশই মনে করে না যে খুব সহসাই করোনার ভ্যাকসিন বা ওষুধ আবিষ্কার হয়ে যাবে। পরীক্ষামূলক যেসব ওষুধের কথা আমরা শুনছি সেগুলো মূলত করোনার নানা উপসর্গ কমিয়ে নিয়ে আসার জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশই বিশ্বাস করে, করোনা দূর হবার জন্য মূলত পৃথিবীর ৮০ শতাংশ মানুষকে একবার হলেও করোনা আক্রান্ত হতে হবে। একবার করোনা হয়ে গেলে, তার করোনা প্রতিরোধ করার সক্ষমতা অর্জন করার কথা, ফলশ্রুতিতে সেটাই হবে করোনাভাইরাস ঠেকানোর মূল অস্ত্র।

তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, সবাইকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দিলেই তো অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সবাই আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থও হয়ে যেতে পারে, তাহলে ল্যাঠা চুকে যায়। এত কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন ইত্যাদি করে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করার দরকারটা কী? দরকার আছে। কারণ করোনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষরাই মূলত বেশি আক্রান্ত হন, মৃত্যুর হারও প্রায় ৯৫ শতাংশই তাদের মধ্যে। এর নিচে অল্প কিছু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার খুবই কম। এখন দেশগুলো যদি কোন ব্যবস্থা না হয়, তাহলে একবারে সবাই অসুস্থ হলে লাখ লাখ বয়স্ক মানুষের আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে, হাসপাতালে সাধারণ বেড লাগবে, অক্সিজেন লাগবে, ওষুধ লাগবে, ডাক্তার লাগবে – যেটা পৃথিবীর কোন দেশেরই নেই। 

কিন্তু কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেসন ও লকডাউনের মাধ্যমে যদি এই আক্রান্ত হবার প্রক্রিয়াটাকে ন্যূনতম ৬ মাসে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে সব দেশই তাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে কিছুটা হলেও চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে, নাহলে শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে। তার মানে হচ্ছে এই বিদ্যমান পদ্ধতি করোনাকে প্রতিরোধ করার জন্য নয়, বরঞ্চ করোনাকে ধীরে ধীরে সামলানোর একটি বিশেষ সামাজিক ও আচরণগত রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি। তাই আমাদের অবশ্যই আরও দীর্ঘদিন সব ধরণের সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

৩) মানুষজন মসজিদে গেল, গার্মেন্টস কারখানায় আসল, কারওয়ান বাজারে গেল– তাইলে আর এখন লকডাউন জারি রেখে কোন লাভ আছে?
আছে ভাই আছে। আপনি যদি ১৭ কোটি মানুষকেই টানা ১৪ থেকে ২১ দিন বাসায় আটকে রাখতে পারতেন, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত আপনি করোনাকে প্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। তাও পুরোপুরি পারতেন না, সীমান্তে আনাগোনা থাকে, পণ্যের চলাচল হয়। কিন্তু এই যে সাম্প্রতিক হাজার হাজার মানুষ বাজারে যাচ্ছে, মসজিদে যাচ্ছে, গার্মেন্টসে আসছে, তাতে করে অবশ্যই লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়েছে, কিন্তু তবু যতটা লকডাউন সম্ভব হচ্ছে, তাতেও কাজ কম হচ্ছে না।

যেমন ধরুন, আমার বাবা-মা গত ২০ দিন ধরে পুরোপুরি বাসায়। তারা কোথাও যান না, কাউকে বাসায় আসতে দেন না, বুয়া আসেন না, আমার বোন যায় না, পত্রিকা নেয়া বন্ধ (পত্রিকার মাধ্যমে অবশ্যই করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। আপনার হকার যদি পত্রিকায় বিরাট একটা হাঁচি দিয়ে আপনার দরজার নিচে দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়, তবে অবশ্যই আপনার করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়)। অন্য সময় হলে আমার বাবা মসজিদে যেতেন, সা পাশের রোডে খালার বাসায় যেতেন। আমার কেয়ারটেকার, বুয়া বাসায় আসত। এদের কারো মাধ্যমে করোনা আমার বাবা-মাকে আক্রান্ত করলে, তারা সেটি আবার আমার খালা, বোন, বুয়া, কেয়ারটেকার, মসজিদের মুসুল্লি, ড্রাইভার এবং তাদের মাধ্যমে তাদের পাড়া-প্রতিবেশীসহ আরও হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারত।

লাখ লাখ মানুষ যেমন নিষেধাজ্ঞা মানছেন না, তেমনই কোটি মানুষ নিষেধাজ্ঞা মানছেন। তাই যতদিন সম্ভব লকডাউন বজায় রাখতে হবে। লকডাউন উঠে গেলে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যতদিন পারা যায়। প্রতিটা মানুষের এই আত্মত্যাগ আরও হাজারটা মানুষকে এক ধাক্কায় আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে। এভাবে একবারে কম কম করে আক্রান্ত হলে; হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের পক্ষেও ভালো সেবা দেয়া সম্ভব হতে পারে।

৪) আমার (জনৈক তরুণ, আমি না) বয়স তো ৩৯ বছর। আমার তো করোনা হবে না। হইলেও মরব না। তাহলে আমি একটু টুইংকেলের সাথে দেখা করে আসি ভাই?
নাহ সরি। ঝিম মাইরা ঘরে বসে থাকেন ভাই। একথা সত্য যে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে ৬০ বছরের নীচে মানুষের আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম, মৃত্যু তো আরও কম। তাই অল্প বয়সী মানুষদের মৃত্যুর ঝুঁকি নগণ্য। কিন্তু অল্প বয়সী মানুষ নিজেরা কম ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তারা বেশি বয়স্ক মানুষের জন্য বিরাট ঝুঁকি। তারা বয়স্ক মানুষদের আক্রান্ত করে মৃত্যুর মুখে ফেলতে পারেন।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর অনেক হিসাব নিকাশই যেন বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে মিলছে না। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের বয়সের ব্যাপ্তি খুব অদ্ভুত ভাবে প্রায় সব বয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একইভাবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অনেক তরুণ বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন।

বাংলাদেশি চিকিৎসক বন্ধুদের সাথে কথা বলে জানা গেল, উন্নত দেশে ৬০ বছর বয়স্ক মানুষের শারীরিক গঠন ও ঝুঁকি যেই মাত্রায়, বাংলাদেশিদের মধ্যে সেই একই ঝুঁকি অনেক সময়ে ৫০ বছরে এমনকি তার কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। সুতরাং, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ৬০ বছরের মানুষদের যে ঝুঁকি বাংলাদেশিদের হয়ত ৪০ বছরের পরেই সেই ঝুঁকি, যেমন ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, উচ্চরক্তচাপ, ফুসফুস বা কিডনির প্রদাহ প্রকট হয়ে দেখা দেয়। সুতরাং আপনি যদি ৬০ বছরের কম বয়সী বাংলাদেশিও হন, আপনার কপাল খারাপ। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকেন।

৫) বাইরে তো চরম গরম। রোদে মাথার তালু পুড়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রায় তো করোনা মরে ভূত। তাইলে ঘুরতে যাই নাকি?
সরি ভাই। এই বিষয়েও এখনও কোন নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। তাপমাত্রার একটা প্রভাব করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যে ভূমিকা রাখতে পারে, এই ব্যাপারে বহু বিজ্ঞানী আশাবাদী হলেও, শক্তিশালী কোন তথ্য প্রমাণ এখনও পান নাই। মার্চের শুরু পর্যন্ত কিছু গবেষণায় আশাবাদী তথ্য পাওয়া গেলেও, তখন পর্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় আমি উচ্চ তাপমাত্রায় করোনা থাকবে না, এই ব্যাপারে খুব আশাবাদী হচ্ছি না।

একটা ব্যাপার মোটামুটি নিশ্চিত যে ড্রপ্লেটের (হাঁচি, কাশি, কথা বলার সময়ে ছড়ানো হালকা জলকণা) মাধ্যমে করোনা ছড়ায়, সে
ড্রপলেট কড়া রোদে দ্রুত শুকিয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ড্রপলেট শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে করোনার টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু রৌদের বাইরেও ঘরের ভেতর নানা উপকরণের উপর ভিত্তি করে করোনা হরহামেশাই ছড়ায়, তাই শুধু তাপমাত্রার উপর ভরসা করে হাত-পা ছড়িয়ে বসে থাকলে চলবে না।

৬) একবার করোনা হলে বললেন যে আর হয় না, কিন্তু অমুক পত্রিকায় পড়লাম তমুক আপার নাকি আবার হইছে?
ভাই এটা নিয়েও নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত আশাবাদী যে একবার যার করোনা হবে তার দ্বিতীয়বার হবে না। কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে কারও কারও নাকি দ্বিতীয়বার করোনা হয়েছে, কিন্তু তারা কেউ মারা গেছেন, এমন তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে যাদের দ্বিতীয়বার করোনা ধরা পড়েছে, তাদের প্রথমবারের টেস্টটা ঠিক মতো করা হয়েছিল কিনা এটা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সন্দিহান। ডাক্তাররা বলছেন, এমন হতে পারে প্রথমবার টেস্টে যদিও দেখা গেছে তাদের করোনা ছিল, আসলে তাদের হয়ত করোনা ছিলই না, ভুল টেস্ট রিপোর্ট এসেছিল। প্রতি ১০০ জনের টেস্টে এমন ৫ শতাংশ ফলস পজিটিভ (অর্থাৎ করোনা নাই, কিন্তু ধরা পড়েছে আছে) অথবা ফলস নেগেটিভ (অর্থাৎ করোনা আছে কিন্তু ধরা পড়ে নাই) হতে পারে। তারা ধারণা করছেন দ্বিতীয়বার করোনা ধরা পড়া কেসগুলো মূলত এমন।

ডাক্তাররা বলছেন করোনার ক্ষেত্রে আসলে প্রথম টেস্টের ৪৮ ঘণ্টা পর আবার টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া গেলে খুব ভালো হতো, কিন্তু মহামারীর বর্তমানে এমন অবস্থা, যাদের একবার দরকার, তাদেরই করা যাচ্ছে না। সুতরাং কারও দ্বিতীয়বার করার মতো অবস্থা নাই। সুতরাং আমরা এখন পর্যন্ত আশা করতে পারি, করোনা একবার হলে হয়ত আর নাও হতে পারে। এইক্ষেত্রে যদি আমরা ভুল হই, তাহলে কপালে খারাপই আছে। এই ভুল রেজাল্টের কারণেই বেশির ভাগ উন্নত দেশই র‌্যাপিড টেস্টে বিশ্বাস করে না। র‌্যাপিড টেস্টে ফলস নেগেটিভের হার ১৫ শতাংশেরও বেশি, যেটি মহামারীর ক্ষেত্রে আত্মঘাতী। তাই র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবহার সীমিত রাখা জরুরী।

অনেকগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আজকে। বেশ কিছু পড়ালেখা করেছি গত একসপ্তাহ ধরে এই জন্য। কথা বলেছি বেশ কজন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে। বিশেষ করে আমার যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডাক্তার বন্ধু সালমা হাসানের সাথে আলাপ করে অনেক চিন্তার উন্মেষ ঘটেছে। তবুও তথ্যে ঘাটতি থাকতে পারে। এটি একটি নতুন রোগ। শতবর্ষের প্রথম মহামারী। আমরাও শিখছি। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এই বিষয়গুলো আপনার পরিচিত সবার সাথে আলোচনা করুন। এগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামনের দিনগুলোতে করোনার সাথে অর্থনীতি, জনসংখ্যাসহ আরও কিছু বিষয়ের সংশ্লেষ নিয়ে আলাপ করার ইচ্ছা আছে। তার আগে প্রচুর পড়তে হবে। এখন সেই কাজটি করছি।

বাংলাদেশ এখন খুব দুর্যোগপূর্ণ অবস্থানে আছে। এখনই সময় সামাজিক সংযোগ ও আচরণে সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াবার (দূরত্ব বজায় রেখে)। খুব ভালো থাকবেন। পজিটিভ থাকবেন। নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকবেন।

লেখক : সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার হেলথ সায়েন্টিস্ট, ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টো

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়