সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইল নিয়ে মুখ খুললেন কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইল নিয়ে মুখ খুললেন কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খুলনা বিভাগে চলমান পরিবহন ধর্মঘট অযৌক্তিক, এতে কোনো লাভ হবে না। গতকাল জাতীয় ঈদগাহের গেটের সামনে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অননুমোদিত এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের মামলায় বাস চালক জমির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা বিভাগে এই পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হাই কোর্টে আপিল করা, তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ রয়ে গেছে। আমি তাদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছি। এখন অযৌক্তিক এ ধর্মঘট শুধু জনগণের ভোগান্তিই বাড়াবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়ের বিষয়ে বিএনপি নেতারা মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বুঝি না বিএনপি নেতারা কেন ধরেই নিয়েছেন যে, মামলায় বেগম জিয়ার সাজা হবে। দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবে, নাকি তিনি খালাস পাবেন এটা আদালতের বিষয়। সাজা হলেও বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি তো একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি ভালো করেই জানেন, নিম্ন আদালতে একটা রায় হলে, সেই রায়টা হয়তো মওদুদ আহমদ ভেবেছেন হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট করিয়ে চূড়ান্ত রায় হতে সময় নেবেন। এর মধ্যে হয়তো নির্বাচনের সময় এসে যাবে। এই বোধ থেকেই তিনি এমন কথা বলেছেন। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হবে কিনা? এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহনে একটা প্রতিক্রিয়া আসে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পর পরিবহনের ভাড়া বাড়াইনি এমন প্রমাণও আছে। পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে বিআরটিএর একটি কমিটি আছে। তারা তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ার পর পরিবহনের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে বাড়ানো হতে পারে আবার আগেরটাও থাকতে পারে। সেতুমন্ত্রী জানান, রাজধানীতে তিন স্থানে অভিযান চলছে। টাঙ্গাইলের এমপি ছানোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার খবর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি ‘তেতো বানানোর’ কোনো প্রয়োজন ছিল না। আওয়ামী লীগ একটি পরিবার, আমার কর্মীকে শাসন করার অধিকার আছে, কিন্তু তার গায়ে হাত দেওয়ার অধিকার নেই। তা ছাড়া যেখানে সংসদ সদস্য অস্বীকার করছেন, সেটা নিয়ে এত তেতো বানানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। এ বিষয়টি প্লিজ ড্রপ করুন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর