জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেছেন, ‘জাতীয়’ শব্দ বলতে দেশের সব জনগণ বোঝায়, এখানে তো আংশিক উপস্থিত। জাতীয় শব্দ তারা কেন ব্যবহার করছে তা-ই বুঝতে পারছি না। নির্বাচনের সময় একটা মুলা ঝুলানো হয়েছে। রাজনীতিতে জল ঘোলা করার জন্য এই ঐক্যের সৃষ্টি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন, এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রব— এ চারজনের ফলোয়ার কয়জন। তাদের তো এতদিন কোনো তৎপরতা দেখিনি। তাহলে হঠাৎ কেন? নির্বাচনের সামনে মুলা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে লাফালাফি চলছে। দুঃখজনক, আমরা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই দেশের রাজনীতিটা এত তরল হয়ে গেছে। যেখানে যার যা খুশি সে তা-ই করছে। কোনো অধিকার নেই তাদের জাতীয় শব্দ ব্যবহার করার। তাদের ইচ্ছা হয়েছে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এখানে এটা জাতীয় ঐক্য কীভাবে হলো? তাদের ঐক্য নিয়ে দেশের কোনো পরিবর্তন হবে না, রাজনীতির কোনো রকমের হেরফের হবে না। জনগণের ওপরও এর কোনো প্রভাব পড়বে না। সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক ঐক্য আমরা অতীতে দেখেছি। তা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর ছিল। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট হয়েছিল হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে। তারা কি সেই নেতাদের মতো নিজেদের মনে করেন? তাদের জনপ্রিয়তা ছিল, মানুষের কাছে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো সাধ্য ছিল। এই ঐক্য নিয়ে লাফালাফি করা লোকজন কি তাদের কাতারে দাঁড়াতে পারবেন? মহানগর নাট্যমঞ্চে যে চিৎকার করে বক্তৃতা তারা করলেন, এই চিৎকার তাদের এতদিন কোথায় ছিল? যাদের সামনে চিৎকার করল তারা তো জামায়াত-বিএনপির লোক। যে জামায়াতকে পরিহার করার কথা তারা বলছেন তাদের সামনে বক্তৃতা করে বাহাবা নিয়ে আসছেন। সুতরাং এই জাতীয় ঐক্যের কোনো ফলপ্রসূ প্রভাব ভোটারদের ওপর পড়বে না, জনগণের ওপরও পড়বে না। রাজনীতিতে তারা জল ঘোলা করার সুযোগ পেয়েছেন। এখানে ভিনদেশি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চক্রের সমর্থন তারা পাবে। এটাই হয়তো তাদের এই লাফালাফির পেছনের শক্তি।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে