বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নয়া পল্টন নিয়ে যত কথা

ফখরুল বললেন গভীর চক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে পুলিশ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রবেশের সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্যায়ভাবে বিএনপি কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে পুলিশ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। এটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাদের গভীর চক্রান্ত এবং এটি সরকারের পরিকল্পিত হামলা।

রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে সরকার পুলিশকে দিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে আগত দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে মিছিলের মধ্যে ঢুকে পুলিশ হামলা করেছে। একই সঙ্গে শিশুদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন বানচালকারী ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী এসে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে ও আগুন দিয়েছে। আমাদের দলের কোনো নেতা-কর্মীর হেলমেট পড়ে আসার কথা নয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা দুই দিন ধরে উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে ফরম নিতে এসেছেন।  যেটা ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা : এদিকে  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, বিনা উসকানিতে মনোনয়ন ফরম নিতে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। তিনি বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ ও হেলমেটধারী ব্যক্তিরা শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমবেত নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি, টিয়ার শেল ও জলকামানের মাধ্যমে সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ৫০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৫টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, গত ১২ নভেম্বর থেকে দলের মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমাদানের কাজ চলছিল।

উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল সেখানে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী সেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দুই দিনের এই জন-উপস্থিতি দেখে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাথা খারাপ হয়ে যায়। এর পরই গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এই সহিংসতা ও আক্রমণের ঘটনার জন্য মূলত সরকার ও নির্বাচন কমিশনই দায়ী। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার চায় ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি বিনা ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে। এ সময় তিনি সরকারের উসকানির ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শান্ত ও সতর্ক থাকুন। রিজভী বলেন, আজকের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন দায়ী, তারা পুলিশকে ব্যবহার করেছে। আর পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে হেলমেট বাহিনী, যারা ক্ষমতাসীনদের হয়ে কাজ করে। ‘নয়াপল্টনের সহিংসতা পরিস্থিতি বিএনপির নির্বাচন বানচালের অংশ’ - আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এটা ওবায়দুল কাদের সাহেবদের কাজ’।

সর্বশেষ খবর