দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে। তাঁর মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির মধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র ধীরে ধীরে আমেরিকার বাইরে সরে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই নেওয়া সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্র এ বছরের জি২০ বৈঠকে অংশ নেয়নি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের বিরুদ্ধে তথাকথিত গণহত্যার অভিযোগ তুলে এই সম্মেলন বর্জন করেন।
ওয়াশিংটন আরও দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্র অনুপস্থিত থাকায় কেবল চেয়ারম্যানের সারসংক্ষেপই প্রকাশ করা উচিত। তবে সদস্য দেশগুলো রবিবার পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন ঘোষণাই প্রকাশ করে।
মার্ক কার্নি বলেন, বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা, দুই-তৃতীয়াংশ বৈশ্বিক জিডিপি এবং তিন-চতুর্থাংশ বাণিজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর সবাই এখানে ছিল, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও। এটি স্পষ্ট যে, বৈশ্বিক অর্থনীতির কেন্দ্র বদলে যাচ্ছে।
তিনি জানান, সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো ওয়াশিংটনের অনুপস্থিতিতেও কার্যকর থাকবে। কানাডা দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাশিয়ার প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্টের সহকারী মাকসিম ওরেশকিন। তিনি সম্মেলনকে সফল আখ্যা দিয়ে বলেন, বন্ধুভাবাপন্ন বহু দেশের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার সুযোগ হয়েছে, এমনকি কিছু অমিত্র দেশের পক্ষ থেকেও অর্থনৈতিক প্রকল্পের প্রস্তাব এসেছে।
সম্মেলনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, জি২০ আগের মতোই এগিয়ে যাবে এবং কাউকে ভয় পাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তকে তিনি তাদেরই ক্ষতি বলে মন্তব্য করেন।
সূত্র: আরটি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল