সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ঘলঘলিয়া এলাকায় কলেজছাত্রী মেয়েকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় বাবার কান ছিঁড়ে নেওয়া বখাটে আবু জাফরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে দেবহাটা থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। শুক্রবার রাতে দেবহাটার সখিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কান ছিঁড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
কান হারানো বাবা আজিজুল ইসলাম খোকন (৪৫) উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের রহমতুল্লা সরদারের ছেলে ও বখাটে ছাত্রলীগ নেতা আবু জাফর (২৫) একই গ্রামের রিয়াজুল সরদারের ছেলে। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা এমন কা- ঘটনোর পরই তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক এএইচ সোহাগ বখাটে এ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করে দুই সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সুমন জানান, অভিযোগের পর পরই দেবহাটা সদর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু জাফরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাহি ও সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগে বখাটেদের স্থান নেই। দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কান হারানো বাবা আজিজুল ইসলাম খোকন জানিয়েছিলেন, দেবহাটার সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
ঘলঘলিয়া গ্রামের রিয়াজুল সরদারের ছেলে বখাটে আবু জাফরকে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করতে ও পিছু না নেওয়ার জন্য বলে। এতে বখাটে আবু জাফর ক্ষিপ্ত হয়। বাড়ি থেকে ঘলঘলিয়া বাজারে যাওয়ার পথে বখাটে জাফর অতর্কিতে হামলা চালায়। বাম কানটি কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করেন। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আবু জাফর পালিয়ে ছিল। অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে সখিপুর এলাকা থেকে বখাটে আবু জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
