বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্ষোভের অনলে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন

ছাত্রদের ক্ষোভের মুখে বুয়েটের ভিসি। সাত দফা দাবিতে দিনভর অবস্থান। ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা-কফিন মিছিল রাজপথে সাত অধিভুক্ত কলেজ । রাজশাহী-চট্টগ্রামসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ মানববন্ধন সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষোভের অনলে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন

আবরার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতীকী কফিন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল (বাঁয়ে), বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল -রোহেত রাজীব

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যায় ক্ষোভের অনলে উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গন। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ সাত দফা দাবিতে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। খুনের মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। শুধু বুয়েট নয়, আবরার হত্যার প্রতিবাদে গতকাল উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও। ছুটির দিনেও প্রতীকী লাশের মিছিল, গায়েবানা জানাজা, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, ঘেরাও, অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়।

আবরার ফাহাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানিয়েছেন। ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার আবরার ফাহাদের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ এসব দাবিতে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। হত্যার দুই দিন পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে তোপের মুখে পড়েছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তিনি ‘নীতিগতভাবে’ একমত।

সকাল সাড়ে ১০টায় বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেয়। পরে আন্দোলনকারীরা সাত দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- আবরার ফাহাদের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার, দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি, (মঙ্গলবার) বিকাল ৫টার মধ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে উপাচার্যের জবাবদিহি, আবাসিক হলগুলোয় র‌্যাগিং নামে ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল, আহসান উল্লাহ ও সোহরাওয়ার্দী হলের আগের ঘটনাগুলোয় জড়িত সবার ছাত্রত্ব ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে বাতিল, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার, মামলা চলাকালে সব খরচ ও আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক বহন প্রভৃতি। এ ছাড়া দুপুরে বুয়েট শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যোগ দেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। মিছিলটি পলাশী মোড় হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে বুয়েটের পূর্ব দিকের খেলার মাঠ হয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

তোপের মুখে ভিসি : আবরার ফাহাদ হত্যার দুই দিন পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে তোপের মুখে পড়েছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। উপাচার্য বিকাল সোয়া ৪টার পর ক্যাম্পাসে এলেও শহীদ মিনারে বিক্ষোভস্থলে না গিয়ে নিজের কার্যালয়ে চলে যান। দিনভর শহীদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ভিসি অফিসের নিচে অবস্থান নেন। শ তিনেক শিক্ষার্থীর ওই অবস্থান থেকে স্লোগান ওঠে- ‘ভিসি স্যার নীরব কেন/জবাব চাই দিতে হবে’, ‘আমার ভাই কবরে/ভিসি কেন ভেতরে’, ‘প্রশাসন নীরব কেন/জবাব চাই দিতে হবে’। সেইসঙ্গে চলতে থাকে তাদের মূল স্লোগান- ‘আবরারের খুনিদের/ফাঁসি চাই দিতে হবে’। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার পর উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম দোতলা থেকে নেমে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সামনে এলে শুরু হয় হট্টগোল। ভিসি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তিনি ‘নীতিগতভাবে’ একমত। প্রায় আধঘণ্টা এ অবস্থা চলার পর আলোচনা অমীমাংসিত রেখেই উপাচার্য আবার ওপরে তার কার্যালয়ে চলে যান। কিন্তু সাত দফা দাবি সুনির্দিষ্টভাবে মেনে নেওয়ার কথা তিনি না বলায় উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা নিচে হাত তালি আর স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় ভিসির কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পর তালা খুলে দেওয়া হয়।

প্রতীকী লাশমিছিল, গায়েবানা জানাজা : গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আবরারের গায়েবানা জানাজা ও গণজমায়েত হয়। এতে অংশ নেন প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী। জানাজায় ইমামতি করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। জানাজা শেষে আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে প্রতীকী লাশমিছিল করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নিহতের প্রতীকী লাশ ও হত্যাকান্ডে র বিচার দাবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর প্রতীকী লাশমিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু করে ভিসি চত্বর হয়ে পলাশী মোড় দিয়ে ঢুকে বুয়েট ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে টিএসসির সামনে দিয়ে শাহবাগ হয়ে আবারও রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে একটি সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে এই ঘটনার বিচার নিষ্পত্তি করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বুয়েট প্রশাসনের শাস্তির দাবিও জানান ডাকসু ভিপি। একই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে র বিচার দাবি করে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া তরুণদের মুখে কালো কাপড়ে ছিল তালা মারা। একটি বড় খাঁচা হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন আরেক তরুণ। খাঁচার ওপরে লেখা ‘কথা বললেই বন্দী’।

বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ : আবরার হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের ফাঁসি দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরের মডার্ন মোড়ে মহাসড়কে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। ময়মনসিংহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে গতকাল দুপুরে নগরের ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে প্রগতিশীল ছাত্র জোট, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বরিশালে গতকাল বেলা ১১টায় নগরের সদর রোডে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ব্যানারে এবং বি এম কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ জেলার বিবেকবান ছাত্রসমাজ। গতকাল কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়। গাজীপুরে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা। ডুয়েটের প্রধান ফটকে ঢাকা-শিমুলতলী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন পালিত হয়। খুনিদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা তিন ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। সিলেটে নগরের চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী টাউন হল মোড়ে সকাল ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তাদের ধাওয়া করে লাঠিচার্জ করার চেষ্টা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পুনরায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন-সমাবেশে মিলিত হন। আধঘণ্টাব্যপী ওই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

চেতনার পরিপন্থী - ঢাবি শিক্ষক সমিতি : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যাকান্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। এ হত্যাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও চিন্তা-চেতনার পরিপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, জ্ঞানচর্চা ও বিতরণই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ। মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও পরমতসহিষ্ণুতা ব্যাহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। আমরা আবরার হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এ হত্যাকা- নির্মম ও পৈশাচিক।

আমরা ব্যর্থ - বুয়েট শিক্ষক সমিতি : আবরার ফাহাদের কথা বলে কাঁদলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ কে এম মাসুদ। গতকাল বুয়েট শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা অভিভাবক হিসেবে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা শিক্ষকরা বলি, প্রশাসন বলি, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি।’ আবরারকে হারানোর শোক সঙ্গে করে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল ক্যাম্পাস শহীদ মিনারে অবস্থান নেন বুয়েটের একদল শিক্ষার্থী। তাদের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। অধ্যাপক মাসুদ বলেন, ‘আমাদের এক ছাত্রকে এভাবে পিটিয়ে মারা হলো... আমাদেরও অনেকের এই বয়সী সন্তান আছে। আমরা আমাদের নিজের সন্তানদের মতো করে বিষয়টি অনুভব করছি। আবরার ফাহাদের কথা বলতে গিয়ে অনেক শিক্ষক কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। এই হলো এখন আমাদের অবস্থা।’ অতীতের বিভিন্ন র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় আবরারকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর