বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘যারা ক্যাসিনো চালায় তারা ঋণখেলাপি, তারা দলে অনুপ্রবেশকারী, তারা দলে আসে ক্ষমতার মধু চাটার জন্য। ক্যাসিনো চালিয়ে তারা শত শত কোটি টাকা কামাই করে ও খেলাপি ঋণের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এদের ছাড়বেন না, এদের শিকড় অনেক গভীরে, এরা অনুপ্রবেশকারী হয়েও ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশে উন্নয়নের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর উন্নয়নের সুফল গুটিকয় লোকের হাতে চলে যাচ্ছে। শতকরা মাত্র পাঁচজন লোক উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে। আমার জানা মতে এ পর্যন্ত ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সদ্যসাবেক অর্থমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন যে ৫ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে; যা দিয়ে দেশের একটি বাজেট তৈরি করা যায়।’ গতকাল দুপুরে গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে ওয়ার্কার্স পার্টির গাজীপুর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্টির জেলা শাখা সভাপতি আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, শ্রমিক লীগ গাজীপুর মহানগর সভাপতি আবদুর রশিদ, জাসদ গাজীপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রানা, গণতান্ত্রিক পার্টির জেলা সভাপতি মনোজ কুমার গোস্বামী, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মামুন হোসেন প্রমুখ।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়ন করা হচ্ছে, অনুপ্রবেশকারীরা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছে। পার্লামেন্টে বড়লোক ও ব্যবসায়ী-মিল মালিকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উঠে দাঁড়িয়েছে আরও দাঁড়াতে হবে। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’ তরুণসমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের গৌরবের ইতিহাস আছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সব ধরনের শোষণ-বৈষম্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে।’
