তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পঁচাত্তরে রাজনীতিতে পরাজিত করতে না পেরে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজও অনেকে চক্রান্তের পথে হাঁটছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে, নেতৃত্বের গুণাবলির কাছে, দূরদৃষ্টির কাছে পরাজিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রচ- হোঁচট খেয়েছে। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে না পেরে তারা ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। বিএনপি ও তার দোসররা রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে ১/১১ এর কুশীলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা নয়। যে কোনো উপায়, ওয়ান ইলেভেন বা পঁচাত্তরের মতো করে হলেও শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে চান তারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী রচিত ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং বইটির প্রকাশক ভাষাচিত্র প্রকাশনী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন লেখক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের মাধ্যমে বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। প্রচেষ্টা ছিল রাজনীতিকদের জনসম্মুখে হেয়প্রতিপন্ন করা, বিরাজনীতিকরণ করা, মানুষকে রাজনীতিবিমুখ করা। তবে এখনো বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা চলছে। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, কিছু পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই রাজনীতিকদের চরিত্র হননের চেষ্টা থাকে। বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টায় যারা লিপ্ত ছিল তারা এখনো সক্রিয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। এক এগারোয় গ্রেফতারের পর শেখ হাসিনার মুক্তিতে শুধু তিনিই মুক্তি পাননি, তার হাত ধরে দেশের গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে দেশ সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের অনুকরণীয় রাষ্ট্রনায়ক। সাইফুল আলম বলেন, বইটির কোথাও মিথ্যার আশ্রয় নেই। ওয়ান ইলেভেনের জন্য দলিল হয়ে থাকবে এ বই। নঈম নিজাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করলে সত্যকে সত্য বলতে হবে, মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়েই যাবে। ভুলকে ভুল বলতে হবে, অন্যায় অসঙ্গতির কথা তুলে ধরতে হবে আমাদের। সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে সবার নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দিয়েছেন, তার কন্যা ভোট ও ভাতের অধিকার দিয়েছেন। এ জায়গাগুলো রক্ষা করতে হবে। সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে, জবরদখল করে ক্ষমতায় থাকলে যে গণতন্ত্র নষ্ট হয় তার বড় প্রমাণ ওয়ান ইলেভেন। সংকটের শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই। ওয়ান ইলেভেনের মাধ্যমে রাজনীতিকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা ছিল।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ
এখনো প্রচেষ্টা চলছে বিরাজনীতিকরণের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর