চলতি এপ্রিল মাসের শেষে দেশের গরিব মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। গতকাল অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড থেমে যাওয়ার পর এখনো তারা নিজেদের সঞ্চয় ভেঙে এবং ধার কর্জ করে জীবন চালাচ্ছেন। এপ্রিলের শেষে তাদের জন্য জীবন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমনকি সে সময় তারা তীব্র খাদ্য সংকটে পড়বেন। এ জন্য তাদের খাদ্য সহায়তা দিতে জরুরিভিত্তিতে অন্তত ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি সহায়তা তহবিল গঠনের সুপারিশ করেছে পিপিআরসি ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট ফর গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। কভিড-১৯-এর প্রভাবে দরিদ্রশ্রেণির মানুষের ওপর কী ধরনের অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ছে তার ওপর একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থা দুটি যৌথভাবে। ব্রিফিংয়ে ড. হোসেন জিল্লুর এসব তথ্য জানান। পরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পৃথকভাবেও তিনি এসব তথ্য জানান।
এতে জানানো হয়, শহর ও গ্রামের ৫ হাজার ৪৭১ জন দরিদ্র মানুষের ওপর মোবাইল ফোনে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে একটি তাৎক্ষণিক জরিপ করা হয়। যা ৪-১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থা দুটির ৫১ জন প্রতিনিধি এ জরিপের ডাটা সংগ্রহ করেন। এতে শহরের ৫১ শতাংশ মানুষ ও গ্রামের ৪৯ দরিদ্র মানুষ অংশ নেন। এদের মধ্যে কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কেউ মাসিক বেতনভুক্ত শ্রমিক, কেউ দিনমজুর, কেউ কৃষি শ্রমিক। প্রতিবেদনে বলা হয়, কভিড-১৯-এর প্রভাবে সারা দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। শহরাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে ৭০ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে এটা ৫৫ শতাংশ থেমে গেছে। এ ছাড়া দেশজুড়ে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের ভোগের পরিমাণ কমেছে ৩৫-৬০ শতাংশ।