শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সর্বজনীন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সর্বজনীন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

সরকারি আমলা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানালেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জাতীয় শোক দিবসের আগের দিন গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টি ফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এত বড় একটা জন্মশতবার্ষিকী-তাতে আওয়ামী লীগ ও আমলা ছাড়া একটি লোকও রাখেনি। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী সর্বজনীন করতে সেখানে অন্য দলগুলোকে ডাকা উচিত ছিল। কাউকেই ডাকা হয়নি। তারা কমিউনিস্ট পার্টিকে ডাকতে পারত। বিএনপিকে ডাকা উচিত ছিল। সবাইকে ডাকলে আজকে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী সর্বজনীন হতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতের আগের দিনের স্মৃতিচারণা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার আগের দিন সাভার থেকে আমাকে ডেকে পাঠালেন। এ সময় তিনি শিক্ষা, কৃষিসহ সার্বিক বিষয়ে আমাকে ২০ মিনিটের একটি বক্তব্য তুলে ধরলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ব্যাপক আকারে করতে তিনি ৩১ একর ভূমিও আমাদের বরাদ্দ দিলেন। ১৪ আগস্ট তাঁর কার্যালয়ে বসেই আমি আমার প্লেনের টিকিট কাটলাম।

 সেদিনই আমার ফ্লাইট ছিল লন্ডনে। তিনি আমাকে একটি ব্যাংক থেকে ১০ পাউন্ডও জোগাড় করে দেন। সেই ঋণ আজও আমি পরিশোধ করতে পারিনি।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যখন আমি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছি, তখন সেখানে সাংবাদিকরা আমাকে বললেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মারা গেছেন। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? আমি স্তম্ভিত হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। প্রায় আধা মিনিট আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হয়নি। এরপর আমি শুধু এটুকুই বললাম, একটি জাতির জন্মের জন্য তিনি নিজের রক্ত দিয়ে গেলেন। আমরা তাঁর চিরকাল বিরোধিতা করেছিলাম। কিন্তু তিনি ডেকে নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হয়তো আমাদের সব কথা তিনি শোনেননি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় সবাই দিয়েছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ এটাকে নিজের স্লোগান হিসেবে চালিয়ে দেয়। এ জন্য বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখন ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হয়েছে।

আওয়ামী লীগ এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রাখতে পারেনি। তারা পদে পদে ভুল করছেন। তারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর