শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মধুদার ভাস্কর্যের কান কীভাবে ভাঙল!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

মধুদার ভাস্কর্যের  কান কীভাবে ভাঙল!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মধুর ভাস্কর্যের কান ভাঙার পর জোড়া লাগানো -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ছাত্র রাজনীতির আঁতুড়ঘর খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের পাশে স্থাপিত মধুদার আবক্ষ ভাস্কর্যের বাম পাশের কান বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে মধ্যরাতেই সেটি মেরামত করা হয়েছে। তবে এ ঘটনা কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটিয়েছে কিনা-এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কেউই কিছু জানাতে পারেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাস্কর্যটির বাম পাশের কান সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। তবে এতে স্পষ্ট কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

মধুর ক্যান্টিনের পরিচালক অরুণ কুমার               দে জানান, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় আমি ভাস্কর্যের কান ভাঙা অবস্থায় দেখতে পাই। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও পুলিশকে জানাই। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রক্টরিয়াল টিম মিস্ত্রি নিয়ে এসে ভাঙা কানটি ঠিক করেন। তিনি জানান, কীভাবে এটা ভেঙেছে, এটা বুঝতে পারছি না। তবে ক্যান্টিনের কর্মচারীরাই এটা মেরামত করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী। তিনি জানান, এমন একটি তথ্য রাতেই আমাদের কাছে এসেছিল। পরে ক্যান্টিনের লোকেরাই কানটি পুনঃস্থাপন করেছে। বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা- সেটা তদন্ত করতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মধুদার প্রকৃত নাম ‘মধুসূদন দে’। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। মধুদার স্মৃতির স্মরণে ‘মধুর ক্যান্টিন’-এর নামকরণ করা হয়। ‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্য’টি মধুর ক্যান্টিনের একটি দরজার পাশেই অবস্থিত। ভাস্কর্যটির ভাস্কর তৌফিক হোসেন খান।

 ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ভাস্কর্যটির প্রথম উদ্বোধন করেন। বর্তমান অবস্থানে ভাস্কর্যটির পুনঃনির্মাণের পর ২০০১ সালে এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর