শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশের শাসন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন দরকার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

দেশের শাসন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন দরকার

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাসে সবসময় সব সত্য কথা প্রকাশ পায় না। আজকে যারা তরুণ, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের তা তুলে ধরতে হলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শাসন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন দরকার। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা ও কমিউনিস্ট নেতা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন। এতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে হায়দার আনোয়ার খান জুনোর ভূমিকা তুলে ধরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রণক্ষেত্রের নায়কদের মধ্যে ছিলেন মান্নান ভূঁইয়া, সিরাজ শিকদার, হায়দার আনোয়ার জুনো, কাদের সিদ্দিকীসহ অনেকে। কাদের সিদ্দিকী ভারতীয় সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। বাকিরা দেশের অভ্যন্তরে মানুষের সাহায্য নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। কূটনৈতিক রণক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তার ভূমিকার কারণে শেখ মুজিবুর রহমান জীবিত বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরেছিলেন। জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা মুক্তিযুদ্ধকে এককেন্দ্রিক ঘটনার পরিধি করেছি। যদি বিকেন্দ্রিকরণ হয়, এক জায়গায় হলেও জুনোর ইতিহাস স্থান পাবে। যেটা আমাদের তরুণদের প্রণোদিত করবে দেশ গঠনে। জনগণের মুক্তির আন্দোলনে। এসব নিশ্চিত করা হলেই জুনোর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে। সভায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্মরণ কমিটির সমন্বয়ক আমিরুন নুজহাত মণীষা। শোকসভার শুরুতে হায়দার আনোয়ার খান জুনোর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।  পরে তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জুনোর মেয়ে অনন্যা লাবণী পুতুল, গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সহসভাপতি জাকির হোসেন, বাসদ নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ। এ ছাড়া সভায় যুক্ত হয়েছিলেন ত্রিপুরার কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাস।

প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ : গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লেবার পার্টির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে চারদিকে নৈরাজ্য চলছে। এই নৈরাজ্য থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য সরকারই আলেমদের বিপথে চালিত করেছে। আমি আলেমদের বলি, অযথা এসব বিতর্কে না জড়িয়ে আন্দোলনে আসেন। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না তার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলুন। সরকারের কিছু পয়সা পেয়ে তাদের কথায় নাচবেন না। তাদের কথায় নাচলে আপনাদেরই ক্ষতি হবে। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে এবং জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ।

, বিএনপি নেত্রী অর্পণা রায়, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ, রাকিবুল ইসলাম রিপন, সেলিনা সুলতানা নিশিতা, আরিফা সুলতানা রুমা, লেবার পার্টির ফরিদ উদ্দীন, ফারুক রহমান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর