শিরোনাম
শনিবার, ১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

পানি ঘোলা করে সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানি ঘোলা করে সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছে

ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে গিয়ে সরকার এখন ‘পানি ঘোলা করে খাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তারা দেড় বছর আগেই শুধু একটি সোর্স থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ না করতে বলেছিলেন। সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি তাদের নিজেদের স্বার্থে। যার ফলে এখন ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম যে, চীন-রাশিয়াকে বিকল্প উৎস করতে। তারা সেটা করেনি। কিন্তু এখন চীন আর রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে। একটা বিশেষ প্রাণী আছে যারা ঘোলা করে পানি খায়। এদের অবস্থা হয়েছে তা-ই। এরা ঘোলা করে পানি খাচ্ছে। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে বর্তমান সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে ‘গুম ও খুন’ হওয়া নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রদত্ত ঈদ উপহার উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, স্বাধীনতার উদযাপনে মিডিয়া উপকমিটির সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে যদি আমরা দেশ রক্ষা করতে না পারি গোটা জাতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। এদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে। আজ সরকার বলতে কিছু নেই, প্রশাসন বলতে কিছু নেই, কোথাও কারও কোনো জবাবদিহিতা নেই। 

অনুষ্ঠানে ‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি, জাকির হোসেন, তরিকুল ইসলাম তারা, মাহবুবুর রহমান বাপ্পী, তারিকুল ইসলাম ঝন্টু প্রমুখের পরিবারের সদস্যদের হাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব। গুম ও খুন হওয়া ৮৭৭ জন পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে ঈদের এ উপহার পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আয়োজকরা জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দলের নেতা-কর্মী গুম হয়েছে পাঁচ শতাধিক। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন যেগুলো আছে অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্র- ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০১ জন গুম হয়েছে, ২ হাজার ৮১৭ জন বিচারবহির্ভুত হত্যা হয়েছে এবং গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অনেক। এত যে মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, এত যে তরুণদের চলে যেতে হয়েছে এর জবাব অবশ্যই আওয়ামী লীগকে দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এস এম জাহাঙ্গীর, কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ইয়াসীন আলী, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ছাত্র, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর