বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

কফিনের পাশে মায়ের আহাজারি

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

বাবার কফিনের দিকে নিষ্পলক চোখে দুই বছরের নোহা। আর মায়ের আহাজারিতে ভারী বাড়ির পরিবেশ। কিছু একটা হারানোর শোক মনে হলেও বুঝতে পারছে না তার বাবাকে আর কোনো দিন ফিরে পাবে না নোহা। ডাকতে পারবে না বাবা বলে। কদিন পর ঈদে  আসার কথা ছিল বাবা নোমানের। সেই নোমান ঠিকই এলো, তবে অসময়ে কফিনের বাক্সে। পুরো নাম রুহুল আমিন নোমান। বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর শহরের টিএন্ডটি পাড়ায়। গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ঢাকার মগবাজারে ভবন বিস্ফোরণে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় এ যুবক। গতকাল সকালে নোমানের মরদেহ দাফন হয় তার গ্রামের বাড়ির সরকারি কবরস্থানে। নিহত যুবক নোমান পাঁচবিবি পৌর এলাকার টিএন্ডটি পাড়ার ডা. খয়বর আলীর একমাত্র ছেলে। নোমানের অকাল মৃত্যুর খবর এবং কফিন বাড়িতে এসে পৌঁছলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নোমানের বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বড় দুই মেয়ে আর সবার ছোট একমাত্র ছেলে ছিল নোমান। নোমান অনেক আগে থেকেই ঢাকার ধানমন্ডির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা করে। পড়ালেখা শেষে ছেলে রহমান রহমান অ্যাসোসিয়েট নামের একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিনও মগবাজার চৌরাস্তার মোড়ে অফিস শেষে মালিবাগ বাসায় ফিরছিল ওই বিস্ফোরণ ভবনের পাশের পথ দিয়ে। হঠাৎ বিস্ফোরণে ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ে অন্যদের ন্যায় নোমানও ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আগামী ঈদে বাড়ি এসে ঈদ করার কথা ছিল নোমানের। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। কোনো বাবার জীবনে যেন এমন ঘটনা না ঘটে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর